মিশরীয় মুবতাহিলান ও ক্বারিদের মধ্যে "তাহা আল-ফাশনি" নামে পরিচিত তাহা মুসা হাসান ১৯০০ সালে মিশরের "বনি সুফ" প্রদেশের "ফাশান" শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইবতাহাল শিল্পে "শেখ আলী মাহমুদ" এর পথ অব্যাহত রাখেন এবং শেখ মোস্তফা ইসমাইলের আবৃত্তিশৈলীতেও তিনি আগ্রহী ছিলেন।
তাঁর রেখে যাওয়া সেরা ও বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে "হুব্বুল হুসাইন", "ইয়া আইয়ুহাল মোখতার" এবং "মিলাদে তাহা"। তাহা আল-ফাশনি ১৯৭১ সালে ইহকাল ত্যাগ করেন।
তার আগে মিশরে অনেক বড় বড় শিল্পী ছিলেন, যাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন "আলি মাহমুদ" এবং "সাইদ দরবেশ"। তাহা আল-ফাশনি যখন বেঁচে ছিলেন সেই সময়কালে, অডিও সুবিধা এবং সরঞ্জামগুলি উন্নত হয়েছিল এবং তার কাজগুলি আরও ভাল মানের সাথে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছিল। তাই ত্বহা আল-ফাশনীর কাজগুলো আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।
তাহা আল-ফাশনি তার শক্তিশালী ক্বিরাতের কারণে সকলেই তার প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। এমনকি উচ্চপদস্থ মিশরীয় ব্যক্তিবর্গও তার ক্বিরাতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি জামাল আবদুল নাসের ও আনোয়ার সাদাতের প্রিয় ক্বারি ও মুবতাহিল (ইবতিহাল খানি) ছিলেন। এই জনপ্রিয়তার কারণ শুধুমাত্র তার উত্তম অনুভূতির সঙ্গে তিলাওয়াত ব্যতীত অন্য কিছুই ছিল না।
ত্বহা আল-ফাশনির অন্যতম বিশিষ্ট কাজ হল "হুব্বুল হুসাইন (আ.)"। তার “হুব্বুল হুসাইন”-এর কারণে মুসলমানরা ছাড়াও খ্রিস্টানরাও তার প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে তার ব্যপক জনপ্রিয়তা ছিল।
তাহা আল-ফাশনি একজন মহান শিল্পী ছিলেন কারণ তিনি সংগীতের ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকতে পারতেন এবং গান চালিয়ে যেতে পারতেন এবং প্রচুর আর্থিক সংস্থান পেতে পারতেন, কিন্তু তিনি এমন একটি ক্ষেত্র বেছে নিয়েছিলেন যা সমাজের প্রয়োজন ছিল। তিনি মহানবী (সা.) ও আহলে বাইত (সা.)-এর প্রশংসা করার জন্য ইবতাহালকে বেছে নেন।