ডেনমার্কের নেওয়া এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে মুসলিম দেশগুলোর সর্ববৃহৎ সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি), মিসরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসিইএসসিও)।
গত ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওআইসির মহাসচিব হুসাইন ইবরাহিম তোহা আশা প্রকাশ করে জানান, ধর্মীয়ভাবে সম্মানিত গ্রন্থগুলোর অবমাননা ও ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় আইনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তা ছাড়া আইনটি বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সহনশীলতা, বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি তৈরি করবে।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে কোরআন পোড়ানো প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ায় ডেনমার্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। তা ছাড়া কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে এমন দেশগুলোও এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করে দেশটি।
চলতি বছর বেশ কয়েকবার ডেনমার্ক, সুইডেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে পবিত্র কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।
তখন সারা বিশ্বের মুসলিমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ধরনের অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে আইন করার আহ্বান জানায়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ কোনো লেখার সঙ্গে অনুপযুক্ত আচরণ করাকে অপরাধ করে একটি আইন পাস করে সুইডিশ পার্লামেন্ট।
সূত্র : ওআইসি ও দোহা নিউজ