সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি ছিলেন এমন একজন রাজনীতিবিদ যিনি ফিলিস্তিনের মুক্তি এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি ‘গভীর বিশ্বাসী’ ছিলেন।
তিনি শুক্রবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক জনসমাবেশে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেয়া এক ভাষণে এ মন্তব্য কেরন।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শাহাদাত উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় সাইয়্যদ নাসরুল্লাহ আরো বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন-আমির আব্দুল্লাহিয়ান ছিলেন এমন একজন ঈমানদার মানুষ যিনি প্রতিরোধ সংগ্রামে গভীর বিশ্বাসী ছিলেন।
প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনাকে তিনি ইরানসহ সারা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন। সারা ইরানে কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রেসিডেন্ট রায়িসির জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন- জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) ও শহীদ কাসেম সোলায়মানির জানাযার পর গোটা বিশ্বের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট রায়িসির জানাযায় তৃতীয় বৃহত্তম জনসমাগম হয়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, গত বছরের অক্টোবরে গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইল যে ভয়াবহ গণহত্যামূলক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট রায়িসি। ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, আট মাসের যুদ্ধের পর ইহুদিবাদী শত্রু তার ব্যর্থতা ও অক্ষমতা উপলব্ধি করতে পেরেছে। তিনি বলেন, ইসরাইল গাজা উপত্যকায় তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।