
এমন ঘটনা ইরানের ক্ষেত্রে ঘটলে কেমন ডামাডোল পিটাতো পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম সমূহ ?!
তার মানে এমন দুর্ঘটনা সব দেশের ক্ষেত্রে ঘটতেই পারে মাযুরাও ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) যার ব্যতিক্রম নয় ।
কিন্তু ইরানের ক্ষেত্রে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়া বেশ জোরে শোরে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয় এবং ইরানের ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে ব্যর্থ বলে জাহির করতে ও দেখাতে থাকে।
আমাদেরকে ইরান সংক্রান্ত পশ্চিমা মিডিয়ার যে কোনো নেতিবাচক খবর অবশ্যই যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে।
পশ্চিমা মিডিয়া মিথ্যা বলতে খুবই ওস্তাদ। তবে সত্য মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়ে খুবই চমৎকার ও সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করে বিধায় লোকজন অনেক সময় তা ধরতে পারে না। আর সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানাতেও পশ্চিমা মাধ্যম সমূহ বেশ পটু ও সুনিপুণ। যেমন : সন্ত্রাসী কায়দায় ফিলিস্তিনীদের গণহত্যা ও ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করে উল্টো মযলূম ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ মুক্তি যোদ্ধাদেরকে এবং সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী যালেম এবং সন্ত্রাসী জবরদখলকারী যালেম ইসরাইলীদের মযলূম ও আত্মরক্ষাকারী বলে দেখায় প্রথম সারির সকল পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ! অর্থাৎ পশ্চিমারা যালেমকে মযলূম ও মযলূমকে যালেম বানায় ও দেখায়। আর এ কারণেই ৪২০০০ এর অধিক গাযাবাসী ফিলিস্তিনী যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও পশ্চিমাদের প্রদত্ত বোমা , ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্র বেপরোয়া ভাবে ব্যবহার করে হত্যা করেও চশম খোর নির্লজ্জ অপরাধী পশ্চিমারা বলছে : " ইসরাইলের নাকি আছে আত্মরক্ষার অধিকার !! " এবং তারা ( পশ্চিমারা ) হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনী স্বাধীনতা কামী সংগঠনকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ ইসরাইলের বিরুদ্ধে তূফানুল আকসা অভিযান চালানোর জন্য সন্ত্রাসী গণহত্যা কারী বলে আখ্যায়িত করছে এবং এ অজুহাত দেখিয়ে ইসরাইল কর্তৃক গাযা বাসীদেরকে এ ধরনের জঘন্য গণহত্যার শিকার করার বিষয়টি তারা ( মানবতাবিরোধী অপরাধী পশ্চিমারা ) সম্পূর্ণ উপেক্ষা এবং তা দেখেও না দেখার ভান করছে । পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকেই যেন সকল সমস্যা , গণ্ডগোল ও সংকটের শুরু ও সূত্রপাত হামাস ও ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ আন্দোলন কর্তৃক ইসরাইলে তূফানুল আকসা অভিযান চালানোর কারণে। অতএব ইসরাইল সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং গণহত্যা , হত্যাকাণ্ড এবং মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ ইসরাইল যত অপরাধই করুক না কেন তা সাত খুন মাফ । " আজ থেকে ৭৬ বছর আগে পশ্চিমাদের পূর্ণ সমর্থন ও সাহায্য পেয়েই তো ইসরাইল অন্যায় ভাবে ফিলিস্তিন সমস্যার মূল হোতা ও স্রষ্টা হয়েছে যার ফলাফল হচ্ছে ৭ অক্টোবরের ২০২৩ এর এই তূফানুল আকসা অভিযান । ফিলিস্তিনীদের ন্যায্য ও বৈধ অধিকার আছে তাদের মাতৃভূমির অবৈধ দখলদারদের ওপর হামলা করে তা শত্রু মুক্ত ও স্বাধীন করার । কিন্তু ইসরাইলের কোন বৈধ ন্যায্য অধিকার নেই গোটা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের ওপর ( ইসরাইলের কোনো বৈধ ভূখণ্ড নেই এবং এর সকল ভূখণ্ড ই ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে জবরদখল কৃত ) । তাই ইসরাইল অবৈধ মেকি রাষ্ট্র বিধায় ইসরাইলের কোনো বৈধ অধিকারই নেই। ফিলিস্তিনীরা তাদের মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য যা কিছু করবে ব্যস সেটাই বৈধ এবং ইসরাইল আত্মরক্ষা ও প্রতিরক্ষার নামে যা কিছু করবে তা সর্বৈব অবৈধ , নাজায়েজ ও হারাম ( নিষিদ্ধ ) ।
অতএব আমাদের উচিত পশ্চিমাদের একদম বিশ্বাস না করা । আর " পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম সমূহ " হচ্ছে (( হে ঈমানদারগণ ! যদি তোমাদের কাছে কোনো ফাসিক ( মিথ্যুক মিথ্যাবাদী লম্পট) কোনো খবর ( তথ্য ও সংবাদ ) নিয়ে আসে তাহলে তোমাদের ওপর ফরয ও অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে ( ঐ সংবাদ সম্পর্কে) যাচাই বাছাই করা যাতে তোমরা অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত ( আক্রমণ ) করে না বস যারফলে তোমরা যা করেছ তাঁর জন্য তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে ))। "
یا أَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُوا إِنْ جاءَکُمْ فاسِقٌ بِنَبَإ فَتَبَیَّنُوا أَنْ تُصِیبُوا قَوْماً بِجَهالَة فَتُصْبِحُوا عَلی ما فَعَلْتُمْ نادِمِینَ
- পবিত্র কুরআনের সূরা -ই হুজুরাতের ৬ নং আয়াতে বর্ণিত ফাসিকের ( মিথ্যুক মিথ্যাবাদী লম্পট ) পূর্ণ বাস্তব নমূনা । আর ঠিক এমনই হচ্ছে চরম মিথ্যুক , মিথ্যাবাদী , অসৎ , লুচ্চা - লম্পট , বাটপার , যালেম , অপরাধী , মানবতাবিরোধী , ফাসিক ও ফাজির ( পাপী দুর্নীতি পরায়ণ ) পাশ্চাত্য ।
অতএব পশ্চিমাদের আনিত তথ্য ও খবর অবশ্যই যাচাই বাছাই করতে হবে । আর এর জন্য প্রয়োজন প্রচার মাধ্যম সংক্রান্ত সাক্ষরতা যা সবার অর্জন করা উচিত।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,