
গ্লোবাল ডিফেন্স নিউজের সাম্প্রতিক খবর ( ৩১- ১০ - ২০২৪ ) : নিজস্ব ড্রোন তৈরি ও উদ্ভাবনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ভারত মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) কাছ থেকে ৩১টা MQ -9B drone কিনছে !!!
এ খবর নিয়ে কিছু কথা :
১২ টা অত্যন্ত দামী MQ - 9B drone গত ১০ - ১১ মাসে ইয়ামানের হুসী আনসারুল্লাহই ভূপাতিত করেছে যার মানে হচ্ছে এ ড্রোন সত্যি সত্যি রদ্দি মার্কা ড্রোন যা হুসীরা খুব সহজেই ভূপাতিত করেছে বা করতে পারে। আর হুসীরা যদি এতগুলো এমকিউ - 9B ড্রোন ( ১২ টা ) অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ভূপাতিত করতে পারে তাহলে ভারত যে ৩১ টা এমকিউ - ৯ বি ড্রোন প্রায় ৩•৮ বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনতে যাচ্ছে সেগুলো তো চীন ও পাকিস্তান আরো বেশি করে ও খুব অনায়াসে ভূপাতিত করে ফেলবে !!! যেখানে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী রদ্দি মার্কা এই এমকিউ - ৯বি ড্রোন ৩০ মিলিয়ন ডলারে কিনে থাকে সেখানে ভারত প্রতিটি MQ - 9B drone ৯০ মিলিয়ন থেকে ১১০মিলিয়ন বা ১২২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনছে !!
এ কথাগুলো কয়েকমাস আগে খোদ ভারতীয় কিছু পত্র পত্রিকা আপত্তি ও অভিযোগের সুরে লিখেছিল । কিন্তু ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনী বিশেষ করে নৌ ও বিমান বাহিনীর হর্তাকর্তারা মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ভক্তি ও প্রেমে অন্ধ হয়ে অথবা উৎকোচ নিয়ে এ ধরনের রদ্দি মার্কা ড্রোন প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে কিনেছে বা ক্রয় করতে যাচ্ছে !!! আসলে কোনো দ্রব্য বা প্রোডাক্টের গায়ে মেড ইন ইউএসএ লেখা থাকলেই সেটা শ্রেষ্ঠ পণ্য সামগ্রী হয়ে যায় না বরং কার্যক্ষেত্রে সেটার কার্যকারিতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হতে হবে। আর অতি অল্প সময় অর্থাৎ দশ মাসের মধ্যে ১ টা বা দুটো নয় মোট বারোটা এমকিউ - ৯ বি ড্রোন মার্কিন - ইয়ামানের মধ্যকার সংঘর্ষে ইয়ামানীদের হাতে ভূপাতিত
হওয়ার অর্থই হচ্ছে মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এ ড্রোন তেমন একটা আহামরি ও কার্যকর কিছু নয়। কিন্তু মোদী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশ্চাত্য প্রেমে পাগলা ও বিভোর কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর হর্তাকর্তারা এ সব দোষ - ত্রুটি দেখেও না দেখার ভান করে এই রদ্দি মার্কা ড্রোন কিনতে আগ্রহী হয়েছে। অথচ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ( ৩•৮ বিলিয়ন ডলার) এই ড্রোন না কিনে বরং নিজস্ব উন্নত মানের ড্রোন উদ্ভাবন বা নিজেদের ড্রোন সমূহের উন্নত ও আধুনিকী করণে ভারত যদি ব্যবহার করত তাহলে তা দেশ ও জাতির জন্য অধিক কল্যাণকর ও উপকারী হত । আর এ কাজ করার ফুরসত যদি না থাকে তাহলে এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইরানী শাহেদ ড্রোনের বিভিন্ন ভার্সন ও টেকনোলজি ক্রয় করতে পারত ভারত । আর এতে করে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো শক্তিশালী হত ।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান