ইকনা’র প্রতিবেদনে আল-জাজিরার সূত্রে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দ্যুজারিক গাজায় আল-জাজিরার দুই সাংবাদিকের শাহাদাতের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বলেন— “আমরা আল-জাজিরা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন— “আমরা গাজার আজকের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করছি। আমরা সবসময় সাংবাদিক হত্যার ঘটনাকে স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়ে এসেছি। সাংবাদিকদের অবশ্যই গাজাসহ বিশ্বের যেকোনো স্থানে স্বাধীনভাবে এবং ভয়-ভীতি, হয়রানি বা হামলার আশঙ্কা ছাড়াই কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে।”
দ্যুজারিক জোর দিয়ে বলেন— “সাংবাদিকদের জন্য জরুরি যে তারা যেন গাজার সব এলাকায় অবাধে প্রবেশ করতে পারে এবং স্বাধীনভাবে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন করতে পারে।”
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম সোমবার ভোরে জানায়— ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী গাজার আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের মূল গেটের সামনে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ড্রোন হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে শহীদ করেছে। শহীদদের মধ্যে আল-জাজিরার দুই সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও মুহাম্মদ কুরেইকা ছিলেন।
আল-জাজিরা আরও জানায়— প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ড্রোন আল-শিফা হাসপাতালের কাছের সাংবাদিকদের তাঁবুকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যেখানে আনাস আল-শরীফ ও মুহাম্মদ কুরেইকাসহ কয়েকজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
গাজায় সাংবাদিক হত্যায় হামাসের প্রতিক্রিয়া
গাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাস জানায়— আল-জাজিরার দুই সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও মুহাম্মদ কুরেইকার ওপর শত্রু ফ্যাসিস্ট সেনাবাহিনীর হামলা এক বর্বরোচিত অপরাধ, যা ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের সব সীমা অতিক্রম করেছে।
গাজা উপত্যকায় সাংবাদিকদের ধারাবাহিকভাবে টার্গেট করা বিশ্বব্যাপী অপরাধী সন্ত্রাসবাদের বার্তা এবং আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ ও আইনব্যবস্থার সম্পূর্ণ পতনের প্রমাণ।
সাংবাদিক হত্যা ও অন্য সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর মাধ্যমে দখলদার শত্রু গাজার শহরে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার পর আরও বড় অপরাধ সংঘটনের পথ তৈরি করছে। 4299306#