
সংবাদমাধ্যম ফিতো–র বরাতে জানা গেছে, জর্ডানের এই কেন্দ্রটি তাদের বার্ষিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে এবং এতে শাইখ আল-তাইয়্যিবকে বৈশ্বিকভাবে অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নির্বাচন তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও সম্মানিত ইসলামী প্রতিষ্ঠান আল-আযহারের ভূমিকা, মধ্যপন্থার প্রচার এবং শান্তি-সংলাপ প্রতিষ্ঠায় তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাইখ আল-তাইয়্যিবের বৈজ্ঞানিক মর্যাদা এবং নেতৃত্ব শুধুমাত্র আরব বা ইসলামিক বিশ্বের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গভীর প্রভাব ফেলছে।
তাকে আধুনিক যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্বদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশেষ করে— উম্মাহর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুসমূহে তাঁর ভূমিকা, চরমপন্থা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান এবং ন্যায়সংগত দাবিগুলোর বিশেষত ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন
গ্রন্থটিতে উল্লেখ করা হয় যে, শাইখ আল-তাইয়্যিব আল-আযহারকে গাজায় সংঘটিত গণহত্যা, নির্যাতন ও মানুষের বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও সম্মানজনক অবস্থান নিতে উৎসাহিত করেছেন এবং মানবিক সহায়তার আহ্বানকে জোরদার করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে আল-আযহার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান করছে— যেখানে ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্তরে অধ্যয়ন করে এবং এবং ১২০+ দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ইসলামি মধ্যপন্থা শেখে
এই শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে সঠিক ধর্মীয় বোধ, সহনশীলতা ও শান্তি বার্তা প্রচারে ভূমিকা রাখছে।
গ্রন্থটিতে শাইখ আল-তাইয়্যিবের ভ্যাটিকান সফরসহ ঐতিহাসিক আন্তধর্ম সংলাপ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর সমর্থন এবং বিদেশে আল-আযহারিক কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাগুলোও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জর্ডানের ওয়াক্ফ মন্ত্রী উসামা আল-আজহারি–ও ২০২৫–২০২৬ সালের “বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব”-এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাঁর ধর্মীয় ও বৌদ্ধিক অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করা হয়েছে। 4317857#