
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান “রুইয়্যা আল হারাম আল মাক্কি” জানিয়েছে, এই উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে মসজিদুল হারামের আঙ্গিনা ও আশপাশের করিডরগুলোতে অতিরিক্ত ৯ লক্ষ মুসল্লি নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন।
প্রকল্পটি ১২ মিলিয়ন বর্গমিটার জায়গাজুড়ে নির্মিত হবে, যা মসজিদুল হারামের সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এটি মক্কাকে একটি বহুমুখী বৈশ্বিক ধর্মীয় ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি, দর্শনার্থীদের জন্য মসজিদুল হারামে প্রবেশাধিকার সহজতর করবে।
যদিও প্রকল্পের মোট ব্যয় ও সমাপ্তির সময়সীমা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, এটি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ভিশনের লক্ষ্য হলো দেশটির অর্থনীতিকে বহুমুখী করা, তেলনির্ভরতা কমানো এবং ধর্মীয় পর্যটন ও অবকাঠামো খাতকে শক্তিশালী করা।
সৌদি সরকার জানিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৩০ মিলিয়ন হাজি ও ওমরাহযাত্রী গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৯ সালেই সৌদি আরব হজ ও ওমরাহ থেকে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
এদিকে, সৌদি ক্যাপিটাল মার্কেট অথরিটি ঘোষণা করেছে যে, মক্কা ও মদিনার পবিত্র এলাকায় অবস্থিত সম্পত্তির মালিক কোম্পানিগুলিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে — যা দেশটির বিনিয়োগ পরিবেশ ও অর্থনীতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এক কৌশলগত পদক্ষেপ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।4311042#