
নতুনভাবে সাজানো মসজিদটিতে স্থাপন করা হয়েছে একটি আধুনিক গ্রন্থাগার, পাশাপাশি নামাজিদের চাপ সামলাতে করা হয়েছে বিস্তৃত পরিসরের সম্প্রসারণ। তবে পুরো প্রকল্পজুড়েই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্থাপনার ঐতিহাসিক চেহারা সংরক্ষণে—যেখানে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিক সুবিধার এক ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। আয়োজকদের ভাষায়, এটি “অতীতের রূহ ও বর্তমানের চাহিদার এক নান্দনিক সমন্বয়”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোয়ারা ও বোর্নো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর, ইলোরিন শহরের প্রতিনিধি, নাইজেরিয়ার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তামন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।
পুনর্গঠন কমিটির চেয়ারম্যান ইদ্রিস আবদুল্লাহ হারুন তার বক্তব্যে বলেন, ‘নতুনভাবে নির্মিত গাম্বারি মসজিদ শুধু একটি স্থাপনার সংস্কার নয়; বরং এটি আমাদের ঐক্য, ঈমান ও ইলমের আলোর প্রতীক।” তিনি স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় এই ধর্মীয় স্থাপনা সংরক্ষণের ঐতিহ্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ইতিহাসবিদদের তথ্য অনুযায়ী, গাম্বারি পরিবার দুই শতাব্দীরও বেশি সময় আগে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তাদের বংশধরেরা আজও মসজিদের সংরক্ষণ ও সংস্কারকাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় এতে বড় একটি সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৮ সালে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক পুনর্গঠন, যাতে স্থানীয় মুসলিম জনসাধারণসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল।
ইলোরিনের ইমাম শাইখ মুহাম্মদ বাশির সালিহু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোয়ারা ও বোর্নো অঙ্গরাজ্যের দীর্ঘদিনের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা তুলে ধরেন। আয়োজকদের মতে, গাম্বারি মসজিদের পুনরায় উদ্বোধন শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনারই পুনর্জন্ম নয়; বরং এটি স্থানীয় সমাজে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধারাকে আরও সুদৃঢ় করবে ইনশাআল্লাহ।
সূত্র: আলুকা নেটওয়ার্ক