তিনি বলেন: পবিত্র কুরআনে সূরা মায়েদাতে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ.) ও তার সাথীদের জন্য আসমান থেকে বেহেশতি খাদ্য নাযিল করেছেন। আর এ খাদ্য নাযিলের পর আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে হযরত ঈসা (আ.) ও তার সাথীরা আনন্দ ও উৎসব পালন করেছিলেন।
তিনি বলেন: মানব জাতির হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার উদ্দেশ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) আগমন উক্ত বেহেশতি খাদ্যের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। কেননা তার আগমনের মধ্য দিয়ে এ পৃথিবী আলোকিত ও উদ্ভাসিত হয়েছে। তিনি অজ্ঞতা ও মূর্খতায় জর্জরিত তদানীন্তন মানব জাতিকে নাজাত দিয়েছেন। তিনি জাহেলিয়াতের যুগের মানুষকে মূর্তি পূজারীর ন্যক্কারজনক সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিয়ে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর উপাসনার শিক্ষা দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, রাসূল (সা.) দুনিয়া ও পরকালে মানুষের মুক্তি লাভের নিমিত্তে মানব জাতির জন্য আসমানি কিতাব কুরআনকে নিয়ে এসেছেন। কাজেই মহানবীর (সা.) এ পৃথিবীতে আগমনের দিন সমগ্র মানব জাতির জন্য মহা আনন্দ ও উৎসবের দিন। সুতরাং মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) মহিমান্বিত জন্ম দিবসে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে মিলাদ মাহফিল উদযাপন করা আমাদের ঈমান এবং রাসূলের (সা.) প্রতি ভক্তি ও ভালবাসার পরিচয় বহন করে।