
উপহার দেয়াটা মনে হতে পারে একটি সহজ, দৈনন্দিন আচরণ, কিন্তু গভীরভাবে, এটি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার বার্তা বহন করে। অনেক সংস্কৃতিতে উপহার যে ক্রম বা সিরিয়াল বজায় রেখে দেয়া হয় তারও অর্থ রয়েছে।
 
কাকে প্রথমে উপহার দেয়া হবে তা মানব সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করতে পারে। ইসলামী ঐতিহ্যে, ইসলামের মহানবী মুহাম্মাদ (সা) একটি সূক্ষ্ম এবং চিন্তা-উদ্দীপক বাক্যের মাধ্যমে নারী ও মেয়েদের বিশেষ স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন: "তোমাদের সন্তানদের উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে সমান হও। কিন্তু যদি আমি কাউকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে চাই, তাহলে আমি নারীদের শ্রেষ্ঠ মনে করব।" 
 
এই বাক্যটি ধর্মীয় সুপারিশের বাইরেও একটি মানবিক বার্তা বহন করে যা আমাদের দৈনন্দিন আচরণকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। নারী ও মেয়েদের মূল্যায়ন বৈষম্যের উপর ভিত্তি করে নয়, বরং তাদের মানসিক, সামাজিক এবং ঐতিহাসিক চাহিদা বিবেচনা করে করা উচিত। অনেক সমাজে মেয়েরা আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। অগ্রাধিকার হিসেবে উপহার দেয়া ক্ষতিপূরণ, উৎসাহ এবং আত্মসম্মান বৃদ্ধির প্রতীক হতে পারে এবং এটি খোদায়ি করুণাও বয়ে আনে। 
 
এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল ইসলামেই নয়, বরং অনেক নৈতিক ও মানবিক ঐতিহ্যেও দেখা যায়; ভালোবাসার প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া সামাজিক ও নৈতিক পরিপক্কতার লক্ষণ। # পার্স টুডে