বার্তা সংস্থা ইকনা: ইতোমধ্যেই, আতিফ মুজাফ্ফার নামে এক জঙ্গি ধরা পড়েছে এনআইএ-র জালে। সেও স্বীকার করেছে যে জাকিরের কথায় উত্সাহিত হয়েই এই কাজে লিপ্ত হয় সে। কানপুরের ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও জাকির নায়েকের প্রভাব রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছে আতিফ। এনজিও-কে কিভাবে হাওয়ালা ব্যবসায় কাজে লাগাত জাকির, সেবিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে তারই এক সহকর্মী। জাকির নায়েক তার স্ত্রী ও বোনের ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রচুর বিদেশি টাকা পাচার করেছে।
ঢাকার গুলশান হামলার পরেই এই ইসলামিক প্রচারকের নাম সামনে আসে। এরপর থেকেই তার আর কোনও পাত্তা নেই। এনআইএ এর তরফে জেরার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে জাকির নায়েককে। সে হাজির না হলে তার কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নায়েকের ২১টা সম্পত্তির মধ্যে ১৩টি রয়েছে মুম্বাইতে। রায়গড়ে রয়েছে ১৮০০০ স্কোয়্যার ফুটের একটি এলাকা।
গত বছর গুলশান ক্যাফেতে সন্ত্রাস ছড়ানোয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকির নায়েকের দিকে। এরপরই জাকির গ্রেফতার এড়াতে সৌদি আরবে চলে যায়। ৫১ বছরের জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিরোধ তৈরি করার অভিযোগও আছে। জাকিরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকায় জাকির নায়েকের বোনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করার পর জাকির নায়েকের বোন নাইলা নুরানির বয়ান রেকর্ড করা হয়। গত ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকে তার এনজিও আইআরএফের জন্য অনুদান নেওয়ার সময়ে আইন ভাঙা হয়েছিল। শুধু তাই নয় সম্প্রতি তদন্তে উঠে আসছে পকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা আসত জাকিরের এনজিওতে। এমনকি পাকিস্তানের ডি-কোম্পানি (দাউদ ইব্রাহিম) থেকেও ঘুরপথে টাকা ঢুকতো তার ফান্ডে।
জাকির নায়েককে একাধিকবার সমন পাঠিয়েছে ইডি। অবশেষে কিছুদিন আগে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে ইডির কাছে আবেদন করেছেন, তাকে করা হবে এমন সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র তার কাছে পাঠানো হোক। জাকিরের আইনজীবী মহেশ মুলে ইডিকে লেখা চিঠিতে জানান, জাকির নাইকের এনজিও-র আর্থিক উপদেষ্টা আমির গজদারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র: mtnews24