
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন:যদি মহাপ্রলয়ের মাত্র একটি দিনও অবশিষ্ট থাকে আল্লাহ তায়ালা সে দিনকে এত বেশী দীর্ঘায়ত করবেন যে, আমার বংশ থেকে একজন আবির্ভূত হবে এবং পৃথিবী যেমন, অন্যায়-অত্যাচারে ভরে গিয়েছিল তেমনিভাবে ন্যায়নীতিতে ভরে তুলবেন৷রাসূল(সা.)-এর কাছে আমি এমনটি শুনেছি (কামালুদ্দিন, খণ্ড-১, বাব ৩০, হা: ৪ এবং৫৮৪)৷
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.) বলেছেন: আমি আমার শিয়াদেরকে দেখতে পাচ্ছি যে, কুফার মসজিদে তাঁবু বানিয়ে কুরআন যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল সেভাবে জনগণকে শিক্ষা দিচেছ (গাইবাতে নোমানি বাব ২১, হা: ৩, পৃ.-৩৩৩)৷
ইমাম মাহদীর (আ.) হুকুমতের অন্যতম সাংস্কৃতিক কর্মসূচী হচ্ছে জ্ঞানের বিপ্লব৷ ইমাম মাহদী (আ.) তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম (ইমাম আলী (আ) বলেছেন: তার জ্ঞান তোমাদের সবার চেয়েবেশী৷ গাইবাতে নোমানি, বাব ১৩, হা: ১)৷ তাঁর সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসারঘটবে৷
ইমাম বাকির (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদীর (আ.) হুকুমতের সময়ে তোমাদেরকে জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হবে এবং এমনকি নারীরা ঘরে বসে কিতাব ও সুন্নত অনুসারে বিচার করবে। (গাইবাতে নোমানি ২৩৯), বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ৫২, পৃ.-৩৫২)৷
ইমাম জাফর সাদিক (আ.)বলেছেন: জ্ঞান-বিজ্ঞানের ২৭টি অক্ষর রয়েছে নবীগণ যা এনেছেন তা হচ্ছে মাত্র ২টি অক্ষর এবং জনগণও এই দুই অক্ষরের বেশী কিছু জানে না৷ যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবে বাকি২৫টি অক্ষর বের করবেন এবং মানুষের মধ্যে তা প্রচার করবেন৷ অতঃপর ওই দুঅক্ষরকেও তার সাথে যোগ করে মানুষের মাঝে প্রচার করবেন (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড-৫২, পৃ.-৩২৬)৷ সূত্র: shabestan