
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর আবির্ভাবে বিশ্বাসীদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যরা সর্বদা আল্লাহর উপর আশাবাদী থাকে এবং কোন অবস্থাতেই নিরাশ হয় না।
হুজ্জাতুল ইসলাম মোল্লায় বলেন, আমাদের প্রতিটি পরিবারকে ইমাম মাহদীর প্রতীক্ষাকারী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের সকল কিছুই যেন ইমাম মাহদীর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
امام باقر(ع) فرمودند: «لَكَأَنِّی أَنْظُرُ إِلَيْهِمْ مُصْعِدِینَ مِنْ نَجَفِ الْكُوفَةِ ثَلَاثَمِائَةٍ وَ بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا كَأَنَّ قُلُوبَهُمْ زُبَرُ الْحَدِیدِ...يَسِیرُ الرُّعْبُ أَمَامَهُ شَهْراً وَ خَلْفَهُ شَهْراً؛»
ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আ.) বলেছেন: তিন শত তের জন্য ব্যক্তি (যারা হবে ইমাম মাহদীর সাথী) যারা কুফাতে অবস্থান করবে, তাদের অন্তর হবে অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তারা এতই সাহসী ও শক্তিশালী হবে যে, তাদের চারিপাশের শত্রুরা সব সময় আতংকিত ও কম্পিত থাকবে। তারা আশ্বারোহি ও তরবারি এবং তীর নিক্ষেপে হবে অত্যন্ত পারদর্শী। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা বদরের যুদ্ধে রাসূলের (সা.) সাথীদের ন্যায় অত্যন্ত বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করবে। (দ্র: বিহারুল আনওয়ার, ৫২তম খণ্ড, ৩১০)
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: তারা আল্লাহকে ভয় পায় এবং শাহাদাতের জন্য অপেক্ষা করে। তারা চায় আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হতে এবং তাদের শ্লোগান হচ্ছে আমরা ইমাম হুসাইনের রক্তের বদলা নিতে চাই। তারা যখন শত্রুর দিকে অগ্রসর হয় তখন ত্রাস ও ভয় শত্রুদের অন্তকে একমাস আগে থেকে প্রকম্পিত করতে থাকে।