বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (বুধবার) ইমাম আলী (আ.) সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, শত্রুরা ইরানের জাতীয় শক্তির উপাদানগুলোকে নিজেদের বিরক্তির কারণ বলে মনে করছে এবং সেগুলোকে মোকাবিলা করছে। একইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং বিভিন্ন জাতির মধ্যে ইসলামি ইরানের অবস্থান ও শক্তি বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে। তিনি আরও বলেন, শত্রুদের এ ধরনের তৎপরতা মোকাবিলার উপায় হলো জাতীয় শক্তির উপাদানগুলোর ওপর নির্ভর করা এবং সুদৃঢ় থাকা।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আর নিরাপত্তা হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
তিনি বলেন, ইরানের বর্তমান শান্তি, নিরাপত্তা ও সম্মান-মর্যাদা অর্জিত হয়েছে ইসলামি বিপ্লবের কারণে এবং এই অর্জন ও সাফল্যের গুরুত্ব সবাইকে বিশেষকরে তরুণদেরকে উপলব্ধি করতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, উজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং অগণিত মেধা ও প্রতিভার অধিকারী হওয়ার পরও এক সময় প্রিয় ইরান মার্কিনি, ইহুুদিবাদী ও ব্রিটিশ উপদেষ্টাদের মাধ্যমে পদদলিত হচ্ছিল এবং দুর্বল, ঘৃণ্য ও ক্রীড়নক শাসকদের মাধ্যমে অপমানিত হচ্ছিল। কিন্তু ইসলাম সেই ইরানকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ব্যবস্থা সেই ইরানকে প্রিয় ও শক্তিধর করে তুলেছে।
iqna