বার্তা সংস্থা ইকনা: ইয়েমেনের জনগণ রাস্তায় উৎসব র্যালী প্রদর্শনের মাধ্যমে ইসলামের এই মহিমান্বিত দিনটি পালন করেছে।
ইয়েমেনের সা'দা শহরের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে ঈদে গাদীরের দিবসটি পালন করেছে।
ইসলামী পরিবেশে এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে ইয়েমেনের জনগণ প্রমাণ করেছে যে, তারা সৌদি আরব-আমেরিকান জোটের প্রতিরোধ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।
বলাবাহুল্য, ইয়েমেনের জনগণ ঈদে গাদীরকে বিষেশভাবে সম্মান প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ১৮ যিল হজ্জ ঈদ-ই গাদীর যা মহান আল্লাহ পাকের কাছে সবচেয়ে বড় ঈদ )عِیدُ اللهِ الأَکبَر )ُ) বলে গণ্য এবং হযরত মুহাম্মাদ ( সা.)-এর পবিত্র আহলুল বাইত (আ.) -এর ঈদ (عِید آلِ مُحَمَّد عَلَیهِمُ السَّلَام )।
মহানবী (সা.) ১০ হিজরিতে বিদায় হজ্জ পালন করে মদিনায় ফেরার সময় মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে পথিমধ্যে যাত্রা বিরতি করে পবিত্র মক্কার অদূরে খুমের জলাশয় ( গাদীর- ই খুম ) নামক স্থানে এক বিশাল জনতার ( লক্ষাধিক ) সামনে হযরত আলী (আ.) কে সকল মুমিন মুসলিম নর-নারীর মওলা ( কর্তৃত্বশীল শাসক, অভিভাবক, তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ,হাদী, পথপ্রদর্শক নেতা ও ইমাম) বলে ঘোষণা দেন একথা বলে: مَن کُنتُ مَولَاهُ فَهذَا عَلِیٌّ مَولَاهُ অর্থাৎ আমি যার মওলা এই আলী তার মওলা।
ইসলাম এবং শরিয়তের পূর্ণ বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠার (ইকামাতুদ্দীন) জামানত বা নিশ্চয়তা বিধায়ক হচ্ছে হযরত আলী (আ.) -এর মতো মওলা ও ওয়ালীর বেলায়েত, ইমামত, খিলাফত ও নেতৃত্ব যার ও পবিত্র কুরআনের মাঝে রয়েছে চিরন্তন চিরস্থায়ী সার্বক্ষণিক ঐক্য, অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ও সহবিদ্যমানতা। আর এ থেকে প্রমাণিত হয় যে হযরত আলী (আ.)-এর পথই হচ্ছে পবিত্র কুরআনের পথ অর্থাৎ সত্য সরল পথ ( সিরাত-ই মুস্তাকীম ) এবং সব মুসলমানের উচিৎ তা আঁকড়ে ধরা।