IQNA

মিয়ানমারের হিজাব পরা এক দুঃসাহসী ব্লগার

11:14 - September 13, 2018
সংবাদ: 2606703
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাম উইন লে ফাইয়ু সিন। বয়স ১৯। রূপচর্চার বিষয়াদি নিয়ে তিনি ব্লগিং করেন। হিজাব পরা এই ব্লগার প্রায়ই সমালোচনা ও বৈষম্যের শিকার হন।

মিয়ানমারের হিজাব পরা এক দুঃসাহসী ব্লগার

 

মুসলিম ব্লগার

পাঁচ কোটি মানুষের দেশ মিয়ানমারে মুসলমান মাত্র পাঁচ শতাংশ। অনেকদিন ধরে তারা সেখানে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। নতুন মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পাচ্ছেন না। খবর ডয়েচে ভেলে।

বৌদ্ধ বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে বাসা ভাড়া পেতেও তাদের সমস্যা হয়। তেমনি এমন এক দেশে ব্লগার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন হিজার পরা তরুণী উইন লে ফাইয়ু সিন।

বিষয় রূপচর্চা

এই বিষয়ে ভিডিও ব্লগিং করেন সিন। রূপচর্চার নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। ব্লগার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও খুলেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

যেভাবে শুরু

সিন জানান, হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর তার ছেলেবন্ধু তাকে একদিন মেক-আপের কিছু পণ্য উপহার দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ব্যবহারের নিয়ম তখনো তিনি জানতেন না।

ফলে গুগলের সহায়তা নিয়ে সেসব বিষয়ে ধারণা নিয়েছিলেন তিনি। পরে অন্যদের সাহায্য করতে মেক-আপ বিষয়ে পরামর্শমূলক একটি ভিডিও তৈরি করে ফেইসবুকে আপলোড করেছিলেন। সেই থেকে শুরু। অনুসারী বাড়ছে।

সিনের ফেইসবুক পাতায়ও অনুসারীর সংখ্য প্রায় ছয় হাজার। এবং তা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি রূপচর্চা বিষয়ক পণ্যের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

রূপচর্চা নিয়ে ব্লগ করা অন্য ব্লগাররাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঐ অনুষ্ঠানে হিজাব পরা ও সারা শরীর ঢাকা সিনের পোশাক আলোচিত হয়েছিল।

‘হিজাব চাবির মতো’

হিজাব পরা নিয়ে সিনের কোনো সংকোচ নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের আল্লাহ আমার জন্য অনেক রাস্তা খুলে দিয়েছেন। হিজাব আমার কাছে চাবির মতো। এটা ব্যবহার করে আমি যেখানে ইচ্ছা যেতে পারি, যা ইচ্ছা করতে পারি।’

সমালোচনা ফেইসবুকে অনেক সমালোচনামূলক মন্তব্য পান তিনি। কারণ, রক্ষণশীল মুসলমানদের কাছে মেক-আপ বিষয়টি ট্যাবু হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু সিন এসব সমালোচনার জবাব দেন না। কারণ, এটা তার কাছে শুধু সময়ের অপচয় মনে হয়। ‘আমার অনেক কাজ,’ বলেন তিনি।

বৈষম্যের শিকার

একবার এক বৌদ্ধ নারী যখন জানতে পারেন সিন একজন মুসলিম, তখন তিনি তার (সিন) রূপচর্চার ক্লাস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

captcha