বার্তা সংস্থা ইকনা: ব্রিটেনের হোয়াইট হলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী শামিমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। তবে ১৮ বছর পার হওয়ায় অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবে শামিমা।
সম্প্রতি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন শামিমা। আইএসে যোগ দেয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন বরং তিনি তার সন্তানের জন্যই দেশে ফিরতে চান। তবে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে জন্ম হওয়ায় তার ছেলে সন্তানের নাগরিকত্ব কি হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে শামিমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে জানিয়েছেন, তারা ব্রিটেনের এমন পদক্ষেপে হতাশ হয়েছেন। এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামিমার খোঁজ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে তিনি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সন্তানসহ ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়ার সুযোগ দিতে সরকারের নিকটে প্রার্থনা করছে শামীমা বেগম।
এর আগে শামীমা বলেছিল: দায়েশে যোগ দেয়ার পূর্বে আরও দুই বার গর্ভবতী হয়েছে। কিন্তু ভ্রূণকে বজায় রাখতে সক্ষম হয়নি।
বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী এ তরুণী সাংবাদিকদের কাছে বলেছে, তিনি ব্রিটেনে ফিরতে আগ্রহী।
শামিমা বেগমের মাকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের বাতিলসংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আপনাদের সেটি দেখার অনুরোধ রইল।
‘আপনার মেয়ের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের নথি আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) নোটিশ আকারে প্রকাশ করা হবে এবং সে অনুসারে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, বিদেশে সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করা কাউকে ব্রিটেনে ফিরতে বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনো দ্বিধা করবেন না। iqna