বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ২০১৭ সালে নিজের উপর একটি ইসলাম ভীত মূলক আক্রমণ হওয়ার দৃশ্য সম্বলিত ভিডিও পোষ্ট করার পর তা অনলাইনে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডের হান্টলি শহরে বেড়ানোর সময় এই নারী আমার আর আমার বন্ধুদের দিকে কিছু বস্তু ছুড়ে মারে। এ ঘটনায় আমি পুরো হতভম্ব হয়ে পড়ি এই ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের মত একটি দেশে এমনটি ঘটতে পারে?’
আর ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর দেশ জুড়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা স্বত্বেও মেহপারার মতে অনেক মুসলিম নারী এখনো দেশটিতে বর্ণবাদী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
মেহপারা বলেন, ‘আমি নিজেকে সবসময় একজন একনিষ্ঠ নিউজিল্যান্ডর ভেবেছি। আমি অকল্যান্ডে জন্ম গ্রহণ করি এবং এখানেই বেড়ে উঠি।’
তিনি বলেন, ‘যেসব নারী হিজাব পরিধান করে অবশ্যই তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’
‘মুসলিমদেরকে লক্ষ্য করে অনেক অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। আমি মনে তার দৃশ্যত অন্যদের চাইতে আলাদা এ কারণেই তাদের সাথে এমন করা হচ্ছে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, ৯/১১ এর পর মুসলিমরা সন্ত্রাসী এরকম একটি বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
মেহপারা খান নিউজিল্যান্ডের ঘৃণা মূলক অপরাধ আইনের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে করে মুসলিম সহ নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য জাতী গোষ্ঠীর লোকজনদের সুরক্ষা দেয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার আইনে কিছুটা মানবিক দিক রয়েছে কিন্তু এখানেও অনেক ফাঁক ফোকর রয়েছে। ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্য ঢাকার জন্য কোনো কিছুই নেই।’
তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি স্থানে রূপান্তরিত হয়েছে যেখানে এই নিউজিল্যান্ডে সংখ্যালঘু লোকজনদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অন্যরা সচেতন নয়।’
‘কেউই নিজেদেরকে বর্ণবাদী হিসেবে দেখতে চায় না কিন্তু
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডে এখনো বর্ণবাদী আচরণ একটি বড় সমস্যা হিসেবে রয়ে গিয়েছে এবং আমাদের ক্রাইস্টচার্চের হামলার পর এখন বর্ণবাদ কে দূরে সরানোর জন্য আহ্বান জানানো এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেহপারা খান বলেন, ‘আমি সকল কে একই পাল্লায় মাপতে চাই না। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে যে পরিমাণ সমর্থন এসেছে তা আসলেই বিস্ময়কর।’
তিনি বলেন, ‘আমি লোকজনদের বলতে চাই এ বিষয় নিয়ে কথা বলুন কারণ আমরা যদি আলোচনা বন্ধ করে দিই তবে কিছুতে পরিবর্তন আসবে না।’
মেহপারা খান ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপট ধরে রাখুন। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডে আমাদের জন্য একটি নতুন বাস্তবতা দেখা দিয়েছে।’ rnz.co.nz