রুহানী জানান, ১৩২টি জেলা যেখানে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা খুব কম সেখানে শুক্রবারে জুমার নামাজ মসজিদে আদায় করতে পারবে ধর্মপ্রাণ মানুষ।
রোববার ইরানের করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। রুহানি বলেন, দেশের ১৩২টি ঝুঁকিমু্ক্ত ‘সাদা’ তালিকাভুক্ত এলাকায় মসজিদগুলোতে সোমবার থেকেই চালু হচ্ছে ইবাদত কার্যক্রম। আগামী শুক্রবার থেকে জুম্মার নামাযও চালু করা হবে ওই এলাকার মসজিদগুলোতে। ওই এলাকাগুলোতে ১৬ মে থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। তবে এ সবই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।
রুহানি জানান, ইরানে করোনা সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা ১৩২টি কাউন্টিতে আগামীকাল থেকেই মসজিদ খুলে দেয়া হবে। তবে, বর্তমান প্রেক্ষিতে জামায়াতে নামাজ আদায়ের চেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই বেশি জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত এলাকায় লাল ও সাদা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পরও শহরগুলোতে আগের মতই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম চালু থাকবে।
ইরানে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৭০ হাজার। এই রোগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ১৫৬ জন। iqna