বুধবার স্বাক্ষর করা এই বিলের মাধ্যমে মূলত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের প্রতি চীন সরকারের আচরণের বিরোধিতা করে শক্ত বার্তা পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এই বিলটির পক্ষে সবার এত সমর্থন যে মার্কিন কংগ্রেসে মাত্র একটি ‘না’ ভোট পড়েছে।
বিলটি পাশ হওয়ার ফলে মার্কিন প্রশাসন এখন উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত চীনের সব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই সব কর্মকর্তাদের কোনো আর্থিক সম্পর্ক থাকলে তা নিষিদ্ধ করা হবে এবং তাদের মার্কিন ভিসা বাতিল করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন এক সময়ে বিলটিতে স্বাক্ষর করলেন যখন তারই নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন নতুন একটি বইয়ে দাবি করেছেন, উইঘুর মুসলমানদের গণহারে আটকের বিষয়ে চীনকে অনেক আগেই অনুমতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিলটির বিরোধিতা করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। তারা বলছে, এ সিদ্ধান্তটি চীনের জন্য মানহানিকর। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের ভুল শুধরে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জিনজিয়াং সম্পর্কিত অন্য দেশের কোনো আইন চীন মেনে নেবে না।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের বেশি মুসলমানকে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে রেখে নিয়মিত নির্যাতন করা হয়। যদিও চীন এ তথ্য সব সময়ই অস্বীকার করে আসছে।
তাদের দাবি, ক্যাম্পগুলোতে মুসলমানদের সব ধরনের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। তারা যেন মৌলবাদে না জড়ায় সে জন্যই ক্যাম্পগুলোতে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। iqna