বার্তা সংস্থা ইকনা: গত মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে জিয়া শ্যাডি বারাকাত (২৩) ও তার স্ত্রী ইউসোর মোহাম্মদ আবু-সালহা (২১) এবং তার বোন রাজান মোহাম্মদ আবু-সালহা (১৯) সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন।
এ অপরাধ সংঘটনের সন্দেহে আমেরিকান পুলিশ ক্রোগ স্টিফেন হিকসকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনার ফলে আমেরিকান জনগণ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণ চরম ভাবে মনক্ষুন্ন হয়েছে।
মার্কিন শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিকরা নিহতদের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ী পার্কিং নিয়ে বিতর্কের ফলে মারাত্মক এ আক্রমণের স্বীকার হন তারা। আমেরিকায় মুসলমানদের ঘৃণা ফলে এ তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, এ ব্যাপারটি এড়িয়ে যায়নি পুলিশ।
নিহতের পিতা মোহাম্মদ আবু-সালহা আমেরিকান পুলিশের মতামতকে কঠোর ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন: আমেরিকায় মুসলমানদের প্রতি ঘৃণার ফলে তার সন্তান নিহত হয়েছে।
মোহাম্মদ আবু-সালহা নিজ সন্তানদের দাফনের সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিকট এ নৃশংস ঘটনাটি ‘ধর্মীয় ঘৃণা অপরাধ’ শিরোনামে এফবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ আবু-সালহা আরও বলেন: নিহতদের পরিবারবর্গ প্রতিশোধ চাই না, এমনকি খুনির শাস্তির ব্যাপারটিও তাদের নিকট কোন মূল্য নেই। শুধুমাত্র তাদের একটিই প্রত্যাশা। আর সেটি হচ্ছে আমেরিকান অন্যান্য যুবকদের ক্ষেত্রে যেন এমন ঘটনা না ঘটে।
এ মারাত্মক ঘটনার ফলে বিশ্বের মুসলমানদের চরম ভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। এ ঘটনার ব্যাপারে পশ্চিমা মিডিয়ার কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হওয়ার ফলে মুসলমানেরা প্রতিবাদ করেছে।
আরব-আমেরিকান কমিটি পরিচালক আবেদ আইয়ুব বলেন: এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে মুসলিম শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছে। আর এ জন্যই এ ব্যাপারে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর কোন মাথা ব্যথা নেই।
2844147