বার্তা সংস্থা ইকনা: থাইল্যান্ডের পাঠানি দ্বীপের ইসলামী কেন্দ্রের প্রধান ‘ভাদুরামী মামিঙ্গি’ বলেন: ‘মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব ব্যবহার করতে না দেওয়ার কোন অধিকার তোমাদের নেই। কারণ, ইসলামী নীতিতে মুসলিম নারীদের হিজাব করা অবশ্যক।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘ফ্যাঙ্গ নিগাহ’ প্রদেশের অধিকাংশ জনগণ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও কিছু দিন পূর্বে এ অঞ্চলে ছাত্রীদের ওপর হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মামিঙ্গি এ পদক্ষেপকে ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন বলে অবিহিত করেছেন। তিনি এ বিষয় সম্পর্কে ‘ফ্যাঙ্গ নিগাহ’ প্রদেশের কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেছ এবং এ সমস্যা সমাধান করার মাধ্যমে অন্যান্য স্কুলের কর্তৃপক্ষে সাবধান করে দেওয়া, যাতে তারা এধরণের কাজের মাধ্যমে দেশের ও ইসলামিক আইন লঙ্ঘন করার মত গর্হিত কাজ না করে।
থাইল্যান্ডের প্রাথমিক শিক্ষা কমিশনের মহাসচিব কামাল রাদকালী এ ব্যাপারে বলেন: ‘আমি মনে করি এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং আইন সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই।
তিনি বলেন: স্থানীয় অধিবাসী ও মুসলিম কর্মীদের অভিযোগের ফলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তিনি হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি বাতিল ঘোষণা করেছেন।
রাদকালী আরও বলেন: স্কুলের আইন অনুযায়ী, সরকারী স্কুলে মুসলিম ছাত্রীরা সাধারণ হিজাব ব্যবহার করতে পারবে এবং তাদের মাথার স্কার্ফ সাদা রংয়ের হতে হবে ও এর দৈর্ঘ্য ১২০ সেন্টিমিটারের অধিক যেন না হয়। আবশ্যক
3209086