IQNA

১২ই ফারভারদীন ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস 

10:31 - April 01, 2022
সংবাদ: 3471643
তেহরান (ইকনা): ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম মাস ফারভারদীনের ( ২১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ) প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা ফারভারদীন ( ২১ মার্চ ) ইরান ও ইরানী সংস্কৃতির বলয়ভুক্ত দেশ সমূহে নওরোয (নববর্ষ) উদযাপন করা শুরু হয় যা ১৩ দিন ধরে চলতে থাকে ।

এই নববর্ষ উৎসবের ( ঈদে নওরোয ) ১১ তম দিনে ইরানে আজ থেকে ৪৩ বছর আগে ১৯৭৯ সালের ৩১ মার্চ এক গণভোটে ইরানী জনগণের ৯৮ % এর অধিক শাহানশাহী রাজতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় প্রদান করলে ১২ ফারভারদীন ( ১লা এপ্রিল) ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এ দিন ইরানে ২৫০০ বছরের শাহানশাহী রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠিত হয়  ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও ইসলামী শাসনব্যবস্থা জনগণের গণভোটে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে বসন্ত ঋতুর প্রথম মাসের ১২ তম দিনে । তাই উক্ত সংগীতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসবে বসন্ত বন্দনা পরিলক্ষিত হয়েছে ।

 

১২ফারভারদীন ( ১লা এপ্রিল ) ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস  উপলক্ষ্যে পরিবেশিত এক অন্যতম স্মৃতিবিজড়িত জনপ্রিয়

সমবেত ( কোরাস ) সংগীত যার শিরোনাম : কেলিদে পীরুযী ( বিজয়ের চাবি )

কবি : হামীদ সাবযেভরী

গায়ক: স্ফান্দিয়র কারাবঘী

যে কুহো সাহ- রভো জু কে- নর্

পাহাড় পর্বত , মরু প্রান্তর , নহর ও নদীর ধার হতে

নাসীম অভারাদ্ আতরে নৌ বা- হর্

মৃদুমন্দ সমীরণ ( নাসীম ) নব বসন্তের সুবাস ও সুগন্ধি এনে ছড়িয়ে দিচ্ছে ।

বা- হ - রে মিহান্ যে নৌ রাসীদ্

মাতৃভূমির বসন্তের পুনরাগমন হয়েছে ।

কে অমাদ্ যে রাহীন্ খোজাস্তে ঈদ্

কারণ , আনন্দঘন এই উৎসবের ( ১২ ফারভারদীন ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসব ) সমাগম হয়েছে ।

যে চাশমে স - র - ন্ যে লোৎফে ব - র - ণ্  বোরূন্ থা - র - ভাদ্ অবে খোশ্

গো- ভর্

ঝর্ণা থেকে বৃষ্টি বাদলের কল্যাণে জলকণা বের হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে 

বে ইয়দে বাহমান্ বে দাশতো দমান্ থা- র - নে খনাদ্ হার থারাফ্ হে - য - র্

বাহমানের স্মরণে উপত্যকা ও পাহাড়ের পাদদেশ জুড়ে সর্বত্র হাজার হাজার বার পরিবেশিত ও ধ্বনিত হচ্ছে বিজয় গাঁথা ।

( বাহমান : ইরানী সৌর হিজরী বছরের ১১তম মাস । এ মাসের ২২তারিখ মোতাবেক ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় হয়েছিল। )

বার্খীয্ বার্খীয্ শোকুহে বাহমান্ বীন্

নে- জ- তে মিহান্ বীন্

উঠো উঠো , বাহমানের শান -

শওকত ও জৌলুস দেখ

মাতৃভূমির ত্রাণ ও মুক্তি দেখ

চু আন্দালীব সোখান্ সা - র -

থা - র - নেয়ে ভাথান্ সা - র -

বুলবুলের মতো মিষ্টি মধুর কথা বল আর গাও মাতৃভূমির বিজয় সংগীত

সে- প- সে শদী অফারীন্ গো - য - র্ / সোরুদে অ - য - দী যে দেল্ বা - র - র্

( এ বিজয়ের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ) এমন ( ভাবে )কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যা ( সবাইকে ) করবে সুখী

আর হৃদয় দিয়ে গাইতে থাক স্বাধীনতার গীত

ভাথান্ জা - ভ - ন্ শোদ্  / যা - ম - নে অন্ শোদ্ কে থ বে ভাহ্দাত্ নাক্ব্মে সার্ কোনীম্

মাতৃভূমি হয়েছে নব যৌবনে নবীন ও উদ্দীপ্ত

একতাবদ্ধ হয়ে ( রণ ) সংগীত গাইতে গাইতে

বে আযমে মোহ্কাম্ বে ইয়রীয়ে হাম্ বে রাযমে দোশমান্ জন্ সেপার্ কোনীম্

দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতায় শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা ঢালের মতো ব্যবহার করব আমাদের জীবন প্রাণ

বার্খীয্ বার্খীয্ /  কা - র - নে - হ - বযাস্ত্  / যা - ম - নে পার্ভযাস্ত্

উঠো উঠো , সীমান্ত সমূহ এখন উন্মুক্ত ।

এখনই ( উর্ধ্ব লোক পানে ) উড্ডয়নের শুভ মূহূর্ত ( এখনই হচ্ছে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে শাহাদাত বরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগের সঠিক সময় ও মুহূর্ত ) ।

থো সার্ফা - র - য্  / ভাথান্ বে - স - য্ / যে আজনাবী মাজূ নি - য় - য্

চির উন্নত তব শির

মাতৃভূমির পুনর্গঠনে নিজেকে কর নিয়োজিত ও স্থির

বিদেশীর ( আজনাবী ) কাছে কভু করো না অভাব মোচনের প্রার্থনা হে বীর ।

কে খাসমে থো ফেকরে শেকাস্তে থোস্ত্

কারণ , তোমার শত্রু আছে তোমাকে পরাস্ত করার ধান্দায় সদা ব্যস্ত

কেলিদে পীরুযী বে দাস্তে থোস্ত্

আর বিজয়ের চাবি যে আছে  তোমার হাতেই ন্যস্ত ।

বার্খীয্ বার্খীয্ / কা - র - নে - হ - ব - যাস্ত্  / যা - ম - নে পার্ভযাস্ত্।

 

উঠো উঠো সীমান্ত সমূহ এখন উন্মুক্ত

এখনই ( উর্ধ্ব লোক পানে ) উড্ডয়নের শুভ মূহূর্ত ( এখনই হচ্ছে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে শাহাদাত বরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগের সঠিক সময় ও মুহূর্ত ) ।

 

অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান 

১২ ফারভারদীন , ১৪০১

১লা এপ্রিল , ২০২২

 

ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম মাস ফারভারদীনের ( ২১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ) প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা ফারভারদীন ( ২১ মার্চ ) ইরান ও ইরানী সংস্কৃতির বলয়ভুক্ত দেশ সমূহে নওরোয (নববর্ষ) উদযাপন করা শুরু হয় যা ১৩ দিন ধরে চলতে থাকে । এই নববর্ষ উৎসবের ( ঈদে নওরোয ) ১১ তম দিনে ইরানে আজ থেকে ৪৩ বছর আগে ১৯৭৯ সালের ৩১ মার্চ এক গণভোটে ইরানী জনগণের ৯৮ % এর অধিক শাহানশাহী রাজতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় প্রদান করলে ১২ ফারভারদীন ( ১লা এপ্রিল) ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এ দিন ইরানে ২৫০০ বছরের শাহানশাহী রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠিত হয়  ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও ইসলামী শাসনব্যবস্থা জনগণের গণভোটে । সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে বসন্ত ঋতুর প্রথম মাসের ১২ তম দিনে । তাই উক্ত সংগীতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসবে বসন্ত বন্দনা পরিলক্ষিত হয়েছে ।

ঐতিহ্যবাহী বসন্ত ও নওরোয (নববর্ষ) উৎসবের এক অত্যন্ত আনন্দঘন দিবস ও উৎসব হয়ে গেল ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা  এবং ২৫০০ বছরের শাহানশাহী শাসন ব্যবস্থার বিলুপ্তি দিবস বা ১২ ফারভারদীন যা ইরানে সরকারী ছুটির দিন ।

১২ ফারভারদীন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সমগ্র  মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা দিবস মুবারক ।

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

১২ ফারভারদীন , ১৪০১ মোতাবেক ১লা এপ্রিল ২০২২

captcha