ইকনা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুদস প্রেস থেকে জানা যায় যে আন্তর্জাতিক কুদস ইনস্টিটিউট ও ফিলিস্তিনি ওলামা সমিতি «حقيقة المسجد الأقصى المبارك دراسة تأصيلية لأوصافه ورحبته وحريمه» (মহান আল-আকসা মসজিদের সত্য: এর বর্ণনা, প্রাঙ্গণ ও হারামের মৌলিক গবেষণা) শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেছে, যার লেখক হচ্ছেন হিশাম ইয়াকুব, ইনস্টিটিউটটির গবেষণা ও তথ্য বিভাগের প্রধান।
প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বই আল-আকসা মসজিদ ও এর সীমানা ফিকহি ও ঐতিহাসিক উৎস এবং সমসাময়িক নথির আলোকে উপস্থাপন করে এবং এর বর্ণনা, প্রাঙ্গণ ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাসমূহের একটি প্রামাণ্য পাঠ দেয়।
লেখক উল্লেখ করেছেন যে আল-আকসা মসজিদ বলতে চার প্রাচীরের ভেতরের পুরো এলাকাকেই বোঝানো হয়, যার আয়তন প্রায় ১,৪৪,০০০ বর্গমিটার। এটিকে শুধু মসজিদে কিবলি বা কুব্বাতুস সাখরার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা একটি ভুল ধারণা।
বইটিতে “মসজিদের প্রাঙ্গণ”কে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। একইভাবে “হারাম”কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে আশেপাশের স্থাপনা ও ওয়াকফের সম্পত্তি হিসেবে, যা এর সেবায় নিয়োজিত।
লেখক আল-আকসা মসজিদকে ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করেছেন এবং এর সমসাময়িক ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি তুলে ধরেছেন, যেমন— ১৯২৯ সালের বুরাক বিপ্লব, ১৯৬৯ সালের অগ্নিকাণ্ড, ২০০০ সালের আল-আকসা ইন্তিফাদা, ২০১৭ সালের বাবুল আসবাত আন্দোলন, ২০১৯ সালের বাবুর রাহমা আন্দোলন, তাছাড়া ২০২১ সালের সাইফুল কুদস যুদ্ধ এবং ২০২৩ সালের তুফানুল আকসা। 4303276#