irib বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: এতে আরো বলা হয়েছে, বন্দিদের পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা বা তথ্য আদায়েও নির্যাতনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মারধর করা এবং বৈদ্যুতিক শক দেয়াকে বহুল ব্যবহৃত নির্যাতন হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, বন্দির পায়ে ভারী কাঠের গুড়ি বা রোলার চাপিয়ে দেয়াকে অন্যতম পৈশাচিক নির্যাতন হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জাতীয় নির্যাতনে আটক বন্দি বেচারারা কিডনি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অমানবিক নির্যাতনে বন্দিদের কিডনি অকেজো হয়ে পড়ার শত শত ঘটনা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের চিকিৎসকরা লিপিবদ্ধ করেছেন।
বন্দিদের বেশির ভাগই প্রচণ্ড ভাবে আতংকিত থাকেন এবং তাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা যেন ফাঁস করা না হয় সে জন্য আকুল আবেদনও জানিয়ে থাকেন। এ ধরণের নির্যাতনের বহু ঘটনাই যে চিকিৎসকরা জানতে পারেন না সে কথাও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ডাক্তার।
এ ছাড়া, সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নরম কোষকলার জখম। রোলার, বন্দুকের গোড়া, লাথি, লাটি বা অগ্রভাগ সুচালো বুটের আঘাতে এ জাতীয় জখমের সৃষ্টি হয় বলেও জানান তিনি।#