IQNA

হামাস ও ইসলামিক জিহাদের বিবৃতি: গাজায় ইসরাইলের টাওয়ার হামলা জাতিগত নিধনযজ্ঞের অংশ

0:01 - September 06, 2025
সংবাদ: 3478014
ইকনা- ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক অভিযান বাড়ানোর হুমকি এবং বিশেষ করে গাজার আবাসিক টাওয়ারে হামলার ঘোষণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, এই নীতি গাজাবাসীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও জাতিগত নিধনের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মিডল ইস্ট নিউজের বরাতে ইকনা জানায়, হামাস এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, দখলদার ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইসরায়েল কাত্‌স কর্তৃক গাজার উপর সামরিক হামলা বাড়ানো এবং আবাসিক টাওয়ার লক্ষ্যবস্তু করার ঘোষণা, কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিক ভয়াবহ হামলার পর নতুন করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালার প্রতি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ।

হামাস বলেছে, ইসরাইলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য আসলে দখলদার শাসকের অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার প্রকাশযার মাধ্যমে তারা একটি ঘনবসতিপূর্ণ নগরী ধ্বংস করতে এবং তার বাসিন্দাদের গণহত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখতে চাইছে। এই পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে গাজায় গণহত্যা চালানো, মহল্লা ধ্বংস করা ও জনগণকে জোর করে উৎখাত করার জন্য করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দখলদার ফ্যাসিস্ট সেনাদের দ্বারা টাওয়ার ও শরণার্থীদের ঘরবাড়ি নিশানা করা গাজাবাসীদের জোরপূর্বক উৎখাতের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তথাকথিত অজুহাত যে প্রতিরোধকর্মীরা এসব ভবন ব্যবহার করছেএটি একটি মিথ্যা যুক্তি, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভয়াবহ অপরাধ আড়াল করতে এবং বিশ্ব জনমতকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।

হামাস আরও অভিযোগ করেছে, দখলদাররা নিরীহ বেসামরিক মানুষকে জিম্মি বানিয়ে নিজেদের শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে, যা স্পষ্ট রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।

হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেঅবিলম্বে ইসরাইলি ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন বন্ধ করতে, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে; কারণ এসব অপরাধ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

অন্যদিকে, ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনও এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাত্‌সের বক্তব্যযেখানে তিনি গাজার টাওয়ারগুলো বোমাবর্ষণ এবং বেসামরিক মানুষদের ঘরবাড়ি খালি করার নির্দেশের কথা বলেছেনএটিকে সুস্পষ্ট স্বীকারোক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে যে, ইসরাইল সংগঠিত ও পরিকল্পিত যুদ্ধাপরাধ করছে।

জিহাদ ইসলামি বলেছে, এই অপরাধগুলো এবং নাতানিয়াহুর বক্তব্যযেখানে তিনি গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তরের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা বলেছেনপ্রমাণ করে যে, ইসরাইল সবার সামনে জাতিগত নিধনযজ্ঞ এবং গণহত্যার নীতি বাস্তবায়ন করছে।

সংগঠনটি স্পষ্ট করেছে, প্রতিরোধের শক্তি দখলদার শাসনের এই নৃশংসতা ও বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।4303489#

captcha