দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাজাফ এবং ইরাকের সবগুলো শহরে এ গ্রহণ শতভাগ (১০০%) দৃশ্যমান হবে। নাজাফে গ্রহণ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে, সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ১১ মিনিটে এবং সমাপ্ত হবে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে।
এদিকে, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্স জানিয়েছে, রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় ইরানের সব শহর থেকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। গ্রহণ শুরু হবে রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে, পূর্ণগ্রহণ শুরু হবে রাত ৯টা ১ মিনিটে, রাত ১০টা ২৩ মিনিটে চাঁদ ধীরে ধীরে ছায়া থেকে বের হতে শুরু করবে এবং রাত ১১টা ২৭ মিনিটে গ্রহণের সমাপ্তি ঘটবে।
এই পূর্ণগ্রহণ এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাংশ, দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বাংশ, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর, উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু থেকেও দেখা যাবে।
নামাজে আয়াত ওয়াজিব
ধর্মীয় আলেমদের ফতোয়া অনুযায়ী, সূর্য কিংবা চাঁদগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুকাল্লাফদের উপর নামাজে আয়াত ওয়াজিব হয়। সতর্কতার খাতিরে নামাজ বিলম্ব করা উচিত নয়, এমনকি যদি গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে পড়তে বিলম্ব হয় তবে তা "মা ফিজ-যিম্মা" নিয়তে আদায় করতে হবে।
যদি কেউ গ্রহণ চলাকালীন কিছুই না জানে এবং গ্রহণ শেষ হওয়ার পর খবর পায়, তবে যদি তা পূর্ণগ্রহণ হয়ে থাকে, তার ওপর কাজা ওয়াজিব হবে। তবে আংশিক গ্রহণ হয়ে থাকলে কাজা পড়া ওয়াজিব নয়।
নামাজে আয়াতের পদ্ধতি
নামাজে আয়াত দুই রাকাত, প্রতিটি রাকাতে পাঁচবার রুকু রয়েছে। এটি দুইভাবে আদায় করা যায়—
১. প্রতিবার রুকুর আগে পূর্ণ সুরা ফাতিহা ও একটি করে সুরা পাঠ করে রুকুতে যাওয়া। এভাবে এক রাকাতে পাঁচবার রুকু এবং রুকু শেষে দুই সাজদা এবং একইভাবে দ্বিতীয় রাকাত।
২. সূরা হামদের পর অপর একটি সুরার আয়াতগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে প্রতিবার রুকুর আগে একটি অংশ পাঠ করা। যেমন সুরা "قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ" কে পাঁচ অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশ পৃথক রুকুর আগে পাঠ করা। দ্বিতীয় রাকাতও একইভাবে আদায় করতে হয়। 4303715#