বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে ৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় হেফজ ও তিলাওয়াত বিভাগে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশী ক্বারি ও হাফেজদের নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ইরানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩০ ও ৩১শে মার্চে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রায় ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে হেফজ বিভাগে ১০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে ৪৬ জন পরবর্তী পর্যায়ের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং তিলাওয়াত বিভাগে ৩৭ জন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৪ জন হাফেজ একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছেন।
উক্ত প্রতিযোগিতায় দেশের ১০ জন বিজ্ঞ বিচারক তত্ত্বাবধায়ন করেছেন। বিচারকগণ হচ্ছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান আব্দুল সালাম, সাংস্কৃতিক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান, সাংস্কৃতিক বিভাগের কুরআনিক বিশেষজ্ঞ মুহাম্মাদ হারিস এবং হেফজের বিচারকমণ্ডলীর মধ্যে হাফেজ মাওলানা আব্দুল জালিল, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ওলীউর রহমান খান, হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হাক্ব এবং তিলাওয়াত বিভাগের বিচারকমণ্ডলী হলেন আবু রায়হান, এমদাদুল ইসলাম ও আহমাদ ইবনে ইউসুফ।
প্রতিযোগিতার শেষে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়। উত্তীর্ণদের মধ্যে তিলাওয়াত বিভাগে মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান এবং হেফজ বিভাগে মুহাম্মাদ শরিফুল আমিন সিদ্দিকী ও তানভীর হুসাইনের নাম ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য হাফেম তানভীর হুসাইন জন্মান্ধ। তিনি ২০১২ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ৭৩ দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। হাফেজ শরিফ আল আমিন সিদ্দিকি ২০১৫ সালে পবিত্র রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ‘আলোকিত কোরআন’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী হয়েছিলেন।