ইতিহাসে আমিরুল মু’মিনিন আলীর (আ.) প্রতি সর্বস্তরের মানুষের সুগভীর ভক্তি ও ভালবাসার কোন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এ ভালবাসা কোন বিশেষ স্থান ও সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
তিনি পবিত্র কাবা গৃহে জন্ম লাভের নজিরবিহীন ঘটনার মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু কেন মানুষ এ মহামানবের প্রতি এত সিক্ত ও অনুরক্ত? কেন মানুষের আত্মা ও অন্তরের স্পন্দন হলেন তিনি? তিনি তো আজ আমাদের মাঝে সশরীরে অবস্থান করছেন না; আমরা তো তাকে দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু আজ তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার অবিনশ্বর কৃতি ও আদর্শ আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত ও আন্দোলিত করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি কেন এত মানুষেরে ভালবাসাতে সিক্ত যদি আমরা এ প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করি তাহলে দেখতে পাব যে, মানুষ আলীকে তার মহিমান্বিত আদর্শ ও মহানুভবতার কারণেই তার প্রতি এত অধিক আকৃষ্ট। মানুষ ব্যক্তি আলীকে নয় বরং আলীর আদর্শ ও ব্যক্তিত্বেই মোহবিষ্ঠ।
আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) মানবতা ও মহানুভবতার পূর্ণ ও অতুলনীয় নিদর্শন। তিনি তার মহিমান্বিত বৈশিষ্ট্যাবলীর মাধ্যমে মানবেতিহাসে এক স্বর্ণোজ্বল ইতিহাস রচনা করেছেন; যা চিরদিন নশ্বর ও অম্লান হয়ে থাকবে। কিন্তু এতদাসত্বেও একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষ আলী ইবনে আবি তালিবকে সহ্য করতে পারে নি। তাই তারা নানাবিধ ছলচাতুরীর সাহায্যে ইতিহাস বিকৃত করে তার আকাশচুম্বী ব্যক্তিত্বকে ক্ষুণ্ণ করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে; কিন্তু আজ তারা কোটি কোটি বিবেকের কাছে দংশিত ও নিন্দিত। সূত্র: শাবিস্তান