বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম
ওয়াল মুসলিমিন সাইয়েদ মুহাম্মাদ বাকের মিরদামাদি শাবিস্তান প্রতিবেদকের
সাথে আলাপকালে বলেন: আল্লাহর ওলী কিংবা যুগের মাসুম ইমামের প্রতি আনুগত্য
থাকা মানুষের ঈমান ও আকিদার পরিচয়। যদি কোন মানুষ আল্লাহর ওলী'র প্রকৃত
মর্যাদা সম্পর্কে অবগত থাকে, তাহলে অবশ্যই সে তার প্রতি আনুগত্যশীল থাকবে।
যেমনভাবে কারবালার বাগ্মী নারী হযরত জয়নাব (আ.) একজন বেহেশতি ও মহীয়সী
নারী হওয়া সত্বেও তিনি সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) পদাংক ও
নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলেছেন; কেননা তিনি ইমাম হুসাইনকে (আ.) আল্লাহর
ওলী ও যুগের ইমাম হিসেবে মান্য করতেন। কাজেই আপদমস্তকভাবে ইমাম হুসাইনের
(আ.) নির্দেশনা মেনে চলা তার উপর অবশ্যক।
তিনি বলেন: আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) এবং খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরার (আ.) কলিজার টুকরা হযরত জয়নাবের (আ.) নিকট যখন আব্দুল্লাহ বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তখন তিনি একটি শর্তে উক্ত বিবাহের প্রস্তাবে সম্মত হন যে, সর্বদা ইমাম হুসাইনের (আ.) পার্শ্বে থাকবেন এবং তার আনুগত্য মেনে চলবেন। তিনি এমনই এক ইমাম ও নেতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন, যিনি আল্লাহ মনোনীত ও মাসুম ইমাম। কাজেই হযরত জয়নাবের (আ.) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি যুগের মাসুম ইমাম ও আল্লাহর ওলীর প্রতি সার্বিক ক্ষেত্রে এবং কার্যকরভাবে নিজের অনুগতশীল ছিলেন।
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়েদ মুহাম্মাদ বাকের মিরদামাদি আরও বলেন: যদিও আমরা হযরত জয়নাবের (আ.) মত মাসুম ইমাম ও আল্লাহর ওলীর অনুগত্য প্রকাশ করতে অক্ষম; কেননা এ অনুগত্যে ঈমান ও আকিদার স্থরভেদ রয়েছে। আমাদের ঈমান ও আকিদা তত মজবুত না। কিন্তু তদুপরি আমরা নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী মাসুম ইমাম ও আল্লাহর ওলীর আনুগত্যশীল থাকতে পারি। আর যদি আমরা তাদের প্রতি আনুগত্য থাকি, তাহলে আল্লাহর নৈকট্য ও পুরুস্কারও লাভ করতে পারব।
আমরা অন্যভাবে বলতে পারি যে, আল্লাহর ওলী কিংবা মাসুম ইমামের মারেফাত
হাসিলের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি গভীর অনুগত্য প্রকাশ করতে পারি। তবে এ
ফারেফাত হাসিলের জন্য আমাদেরকে প্রথমে ঈমান ও আকিদাকে মজবুত করতে হবে। সূুত্র: শাবিস্তান