IQNA

সৌদির মুখোশ খুলে পড়েছে: হিজবুল্লাহ প্রধান

16:20 - May 07, 2016
সংবাদ: 2600734
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের জনপ্রিয় ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি সরকারের যোগাযোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীর সামনে সৌদির মুখোশ অনেক বেশি খুলে পড়েছে।ইসলামী প্রতিরোধ সহায়ক সংস্থার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

পার্স টুডের বতার দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট: হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেছেন, ইসরাইল তার দখলদারিত্ব বিরোধী শক্তিশালী প্রতিরোধকামী শক্তি বা ধারাগুলোকে হারিয়ে দেয়ার আশায় সিরিয়ার ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।

সিরিয়ার আসাদ সরকার ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম প্রধান সমর্থক বলেই সিরিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে বলে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, নানা হামলা, সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধ সত্ত্বেও প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে।

হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, ‘শত্রুরা সংগ্রামী গোষ্ঠীগুলো ও প্রতিরোধের সমর্থকদেরকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, আর এ জন্যই আজ আমরা দেখছি যে আবদ্ধ দরজার পেছনে থেকে বর্ণবাদী ইসরাইলের সেবায় নিয়োজিত সরকারগুলোর মুখোশ অনেক বেশি খুলে পড়েছে এবং আরব বিশ্বের জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে পড়েছে যে কারা মার্কিন-ইসরাইলি জোটের শরিক। সংগ্রামী গোষ্ঠীগুলো ও প্রতিরোধের সমর্থকদেরকে দুর্বল করার ওই একই লক্ষে কোনো কোনো সরকার হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করার পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে প্রতিরোধ সংগ্রামের জনপ্রিয়তা কমে যায এবং জনগণ এইসব আন্দোলন থেকে দুরে থাকে।

তিনি আরও বলেছেন, একই লক্ষ্যে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর বিরদ্ধে অর্থ- চোরাচালানের অপবাদ প্রচার করছে সৌদি সরকারসহ মার্কিন-ইসরাইলি জোট ও এই জোটের সেবাদাস সরকারগুলো। এর মাধ্যমে তারা প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি অর্থ সহায়তা বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং তারা ভাবছে যে এর ফলে সংগ্রামীরা দুর্বল হয়ে পড়বে।

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, ১৯৮০’র দশক থেকেই প্রতিরোধ-সংগ্রামকে দুর্বল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র ও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, কিন্তু সেসবই ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রতিরোধ-আন্দোলনই বিজয়ী হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রতিরোধ-আন্দোলনকে সমর্থনকারী দেশগুলোর ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ দেয়া হবে-এটাই স্বাভাবিক। ইরানই এর দৃষ্টান্ত। ইরানের পরমাণু ফাইল বন্ধ করার পর তারা এখন দেশটির বিরুদ্ধে নতুন নানা ফাইল খুলছে। হিজবুল্লাহর প্রধান একই প্রসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার নীতি তুলে ধরে বলেছেন, ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর প্রতি ইরানের আর্থিক সহায়তা নানা চাপ ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অব্যাহত থাকবে।

ইমাম খামেনেয়ী যেভাবে আমাদের আর্থিক, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেভাবেই আমরা তাকে বলছি, ‘আমাদের নেতা নিশ্চয়তা পেতে পারেন পুনরায় এবং থাকতে পারেন স্বস্তিতে’।

সৌদি সরকার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেছেন, রিয়াদ এ অঞ্চলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর আরব লিগ সন্ত্রাসীর তালিকা বানাতে গিয়ে অসততার আশ্রয় নিয়েছে।–তবে এসব ঘটনা বিস্ময়ের কিছু নয় এবং আমরা এখনও সর্বোত্তম অবস্থায় রয়েছি।

তিনি ইয়েমেন ও সিরিয়ায় অশান্তি জোরদারে সৌদি ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেছেন, সৌদি সরকারের সব প্রচেষ্টা কেন্দ্রীভুত হয়েছে ইরান ও সংগ্রামী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে। মিশরের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের হাতে দু’টি দ্বীপ তুলে দেয়ার ঘটনা ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রকাশ্য সমন্বয়ের পথ খুলে দেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। #

iqna

captcha