বার্তা সংস্থা ইকনা: লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, শহীদ মুস্তাফা বাদরুদ্দিন হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রথম যুদ্ধাহতও ছিলেন।
শহীদ মোস্তফা প্রতিরোধের গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়নের জন্য সম্ভাবনাময় সকল চেষ্টা করেছেন এবং তিনি ২০০০ সালের বিজয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর সিরিয়া সঙ্কটের পর, প্রতিরোধের পক্ষ থেকে সিরিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আল হাজ ইমাদ মুগনিয়ার শাহাদাতের পর শহীদ মোস্তফা আরও একটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন আর এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলোর একটি হচ্ছে গুপ্তচর নেটওয়ার্ক উদঘাটন করা।
মুস্তাফা লেবাননে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নেন আর এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কগুলোকেও ধ্বংস করতে লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টাকে তিনি সম্পন্ন করেছেন।
সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, হিজবুল্লাহ যখন সিরিয়ায় প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন মুস্তাফা হিজবুল্লাহ ইউনিটের দায়িত্ব ও নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। আর তার প্রচেষ্টার বদৌলতেই হিজবুল্লাহ সিরিয়ার সরকারের পতনকে ঠেকাতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন: আমরা ৩৪ বছর ধরে ইহুদিবাদী শত্রুর সাথে সংগ্রাম করছি এবং কখনো মিথ্যা বলি নি। এই শত্রু আমাদের সত্যতা ও সাহসিকতাকে স্বীকার করেছে কিন্তু কিন্তু কথিত আরবীয় দেশগুলো আমাদের একাত্মতা এবং আন্তরিকতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে।
নাসরুল্লাহ আরো বলেন যে, জেহাদী কাজের জন্য আমদের শুধু এক বা ১০ সেনাপতি না বরং একটি প্রজন্মের জন্য কমান্ডার আছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, আজ যদি সিরিয়ার সরকার আমেরিকার কাছে মাথা নত করে এবং তাদের আজ্ঞাবহ হয় তাহলে সাথে সাথে সেখানে যুদ্ধের অবসান ঘটবে।