
বাংলামেইলের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপগামী শরণার্থীদের জন্য সবচে ভয়ানক বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ২০১৫ সালকে। অথচ ইউরোপ যাত্রায় ২০১৫ সালের অনেক বেশি ভয়াবহ বছর ২০১৬ সাল। গত বছর প্রথম ৭ মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যায় ১ হাজার ৯৭০ জন। চলতি বছর একই সময়ে মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪ জন।
অভিবাস বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ (আইওএম) জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৫ সালে মারা যায় মোট ৩ হাজার ৭৭১ জন। গত বছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে শরণার্থী মৃত্যুর পরিমাণ ৫৪ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিভিন্ন সময়ে সতর্কতা দেয়া সত্ত্বেও ২০১৬ সাল শরণার্থী মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নিরাপদ যাত্রার আহ্বান বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ক্লিনিকের পরিচালক নিয়েলস ফ্রেজেন বলেন, ‘২০১৫ সালে মোট শরণার্থী মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ ধরনের সঙ্কট প্রত্যাশা করি না। যত দ্রুত সম্ভব এটার সমাধান হওয়া উচিত। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি আর মানবিক দিক উপেক্ষার ফলে এটা হয়েছে।’ শরণার্থীদের অনিরাপদ যাত্রা পশ্চিমা দেশগুলোর অভিবাসন নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
ফ্রেজেন বলেন, ‘শরণার্থীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অতি ডানপন্থীদের প্রভাব পশ্চিমা দেশগুলোর অভিবাসন নীতিকে কঠোর করে তুলছে। হাঙেরি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের কারণে শরণার্থী ইস্যুতে ইইউ-তুরস্ক আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। এটা শরণার্থী নীতিকে প্রভাবিত করেছে।