IQNA

সিরিয়ার সরকার জনগণকে হত্যা করছে না: বাশার আসাদ

23:25 - October 06, 2016
সংবাদ: 2601711
সিরিয়ার সেনারা হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে প্রকাশিত অসত্য অভিযোগ নাকচ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, এ ধরনের তৎপরতা দামেস্কের স্বার্থের পরিপন্থি। ফলে এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল টিভি-২কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাশার আসাদ এসব কথা বলেছেন। তার এ সাক্ষাৎকার বৃস্পতিবার সম্প্রচারের কথা রয়েছে।
কিছু বিরোধী গোষ্ঠী ও ত্রাণ সংস্থা সম্প্রতি অভিযোগ করেছে যে, সিরিয়া এবং রাশিয়ার জঙ্গিবিমানগুলো আলেপ্পোর বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এ শহরটি সরকারি সেনা ও উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।  

বেসরকারি স্থাপনায় হামলার অভিযোগ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট আসাদ আরো বলেন, "বলতে হয়- সরকার হিসেবে যদি এটি আমাদের লক্ষ্য হয় যে, আমরা হাসপাতাল, স্কুল কিংবা বেসামরিক লোকজনকে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছি তাহলে তা তো আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।” তবে যেকোনো যুদ্ধে মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলেপ্পো শহরে উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকারি সেনারা যখন একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে তখন পশ্চিমা ও আঞ্চলিক কিছু গণমাধ্যমে সিরিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা প্রসঙ্গে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অসত্য খবর প্রচার করা হচ্ছে। বাশার আসাদ এ সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেন, যদি এসব অভিযোগ সত্য হতো তাহলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন না। এ সময় তিনি আলেপ্পোসহ পুরো সিরিয়া মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বাশার আসাদ বলেন, সরকারি সেনাদের অভিযানের মুখে যদি সন্ত্রাসীরা ওই এলাকা ছেড়ে যেতে চায় এবং এ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চুক্তি হয় তাহলে তার প্রতি সমর্থন দেবেন তিনি। তবে মধ্যপন্থি বা উদারপন্থি সন্ত্রাসী বলে যাদেরকে দাবি করছে আমেরিকা তা সঠিক নয়; মধ্যপন্থি বলে কোনো সন্ত্রাসী নেই।

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বলেন, সম্প্রতি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল তাতে ওয়াশিংটনের কোনো আগ্রহ নেই; তারা শুধু জাবহাত ফাতেহ আশ-শাম বা সাবেক আন-নুসরা ফ্রন্টকে শক্ত ও কার্যকর কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।

প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, মার্কিন পদাংক অনুসরণ করার কারণে ইউরোপকে এখন আর আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃশ্যপটে দেখা যায় না; এমনকি ইউরোপের কোনো কোনো দেশ নিজেদের স্বার্থেও স্বাধীন পথ অনুসরণ করে না।#

captcha