বার্তা সংস্থা
ইকনা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিকূলতার পরও যারা এসে পড়ছেন, তারা তো মানুষ। আমরা যতদিন পারি
তাদের রাখব। তারপর
তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা মিয়ানমারকে জানাব। তারা নিশ্চয় এটার ব্যবস্থা করবে।
এদিকে সতর্কতা
শর্তেও মিয়ারমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ
সীমান্তের টেকনাফ ও উখিয়া এলাকা দিয়ে
অনুপ্রবেশ করছে।
বিজিবির টহল জোরদার করার কারণে অনেকটায় প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
এবিষয়ে বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর
জেনারেল আবুল
হোসেন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের মালঞ্চ রেস্ট হাউজে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে
জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৪১ রোহিঙ্গাকে
আটকের পর নিজেদের দেশে ফেরত
পাঠানো হয়। এ ছাড়া
নাফ নদ থেকে রোহিঙ্গাবাহী চার নৌকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মেজর জেনারেল আবুল
হোসেন আরো জানান, রাখাইন প্রদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্টবিহীন
কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সীমান্তে টহল জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত বিজিবি
সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে উল্লেখ করে
বিজিবির
মহাপরিচালক জানান, বিজিবির কড়া নজরদারি সত্ত্বেও দালালদের
সহায়তায় সীমান্তের ফাঁকফোকর দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা এ
দেশে প্রবেশ করেছে। এই দালালদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদ হাসান, কক্সবাজার সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার
কর্নেল এম এম আনিসুর রহমান, টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম প্রমুখ। -মানবকণ্ঠ