পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: সাক্ষী মহারাজ বলেন, ‘দেশে সকলের জন্য ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করার সময় এসেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দেশে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য হিন্দুরা দায়ী নয়, দায়ী তারাই যারা ৪ বিবি এবং ৪০ সন্তানের কথা বলে। এসব চলবে না, তিন তালাককে সমাপ্ত করার সময় এসে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘মায়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র নন। মা হিন্দু অথবা মুসলিম হোন তাকে মর্যাদা দিতে হবে।’
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাক্ষী মহারাজ এর আগে দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে সকল হিন্দু মহিলাকে কমপক্ষে ৪ সন্তান জন্ম দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে সাক্ষী মরাজ তার সাফাইতে দাবি করে বলেছেন, ‘আমি কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করিনি। আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
উত্তর প্রদেশে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সেখানে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়েছে। সাক্ষী মহারাজের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মীরাটের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজের বিরুদ্ধে মীরাট পুলিশের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩বি, ২৯৫এ, ১৮৮, ৫০৫/৩, ২৯৮ এবং ১৭১ ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মীরাটের জেলা প্রশাসক বলেন, সাক্ষী মহারাজের কার্যক্রমের তদন্ত করা হচ্ছে। জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার এ সংক্রান্ত ভিডিও চিত্রের ভিত্তিতে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন। তাছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রাশাসনিক কোনো অনুমতিও নেয় হয়নি। প্রশাসন কেবলমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছিল।