
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ৫৮নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে,
«إِنَّ اللّهَ یَأْمُرُکُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَماناتِ إِلى أَهْلِها وَ إِذا حَکَمْتُمْ بَیْنَ النّاسِ أَنْ تَحْکُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللّهَ نِعِمّا یَعِظُکُمْ بِهِ إِنَّ اللّهَ کانَ سَمیعاً بَصیراً؛
অর্থাৎ (হে বিশ্বাসীগণ!) আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহকে তার অধিকারীর নিকট পৌঁছে দাও এবং যখন মানুষের মধ্যে কোন বিচার করবে তখন ন্যায়ের ভিত্তিতে তা করবে; আল্লাহ তোমাদের সর্বোত্তম উপদেশ দান করছেন; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সূরা নিসা, আয়াত নং ৫৮)
এ আয়াতে আমানত বলতে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ আদেশের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। এ আয়াতের তাফসীরে আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) বলেন: রাসূলের (সা.) নবুয়ত ও রেসালতের পরিসমাপ্তির পর মানুষের হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার জন্য আল্লাহ ইমামতিধারার সূচনা করেন। ইমামগণ হল রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইতের (আ.) বংশধারা থেকে এসেছে। প্রত্যেক ইমাম তার ইমামতকাল শেষে ইমামতিধারার গুরু দায়িত্ব পরবর্তী ইমামের উপর অর্পণ করেছে। এখানে ইমামতের এ গুরুদায়িত্ব অর্পণকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।