আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে এবং ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে ইমাম হচ্ছেন সৃষ্টির সকল অস্তিত্বের মাঝে আল্লাহর রহমত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিজগতের কেন্দ্রবিন্দু ও মানদণ্ড এবং তিনি না থাকলে পৃথিবী, মানুষ, জীন, ফেরেশতা, পশু ও জড়বস্তু কিছুরই অস্তিত্ব থাকবে না।
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল, ইমাম ব্যতীত পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে কি? তিনি বললেন: ইমাম না থাকলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি যে মানুষের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়ার এবং তাদেরকে পরিপূর্ণতার দিকে দিকনির্দেশ করার মাধ্যম এবং সকল কল্যাণ ও দয়া তার মাধ্যমেই সবার কাছে পৌঁছে তা একটি অতি স্পষ্ট ও অনিবার্য বিষয়। কেননা, সৃষ্টির প্রথম থেকেই আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার রাসূল এবং পরবর্তীতে তাদের উত্তরাধিকারীদের মাধ্যমে হেদায়েত করে আসছেন।
তবে মাসুম ইমামগণের থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে বোঝা যায় যে, পৃথিবীর বুকে পবিত্র ইমামগণের আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে বৃহৎ থেকে অতি ক্ষুদ্রতম জিনিসের কাছে আল্লাহর রহমত ও বরকত পৌঁছে দেওয়া। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, প্রত্যেকেই যে রহমত ও বরকত পেয়ে থাকে তা পবিত্র ইমামদের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে। তাদের অস্তিত্বও ইমামদের মাধ্যমেই এবং তাদের জীবনের সকল নিয়ামত ও কল্যাণও ইমামদের মাধ্যমে অর্জিত হয়।
যিয়ারতে জামে ’ কাবীরা যা ইমাম পরিচিতির একটি বিশেষ পাঠ সেখানে বর্ণিত হয়েছে:
بکم فتح الله و بکم یختم و بکم یترل الغیث و بکم یمسک السماء ان تقع علی الارض الا باذنه
হে মহান ইমামগণ আল্লাহপাক আপনাদের মাধ্যমেই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনাদের মাধ্যমেই তার সমাপ্তি ঘটাবেন। আপনাদের পবিত্র অস্তিত্বের মাধ্যমেই বৃষ্টি বর্ষিত হয় এবং আপনাদের মাধ্যমেই আকাশ দণ্ডায়মান রয়েছে।
সুতরাং ইমামের অস্তিত্বের প্রভাব তথা সুফলতা কেবলমাত্র তার আবির্ভাব ও প্রকাশ্যে থাকার মধ্যেই বিদ্যমান নয় বরং শুধুমাত্র তার অস্তিত্বই সকল অস্তিত্বের উৎস স্বরূপ।
আল্লাহই এটা চেয়েছেন যে, ইমামগণ সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ অস্তিত্ব হিসাবে সকল অস্তিত্বের কাছে আল্লাহর রহমত ও বরকত পৌঁছে দিবেন আর এক্ষেত্রে তার প্রকাশ্য ও অদৃশ্য অবস্থার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হ্যাঁ প্রত্যেকেই ইমামের অস্তিত্ব থেকে লাভবান হয়ে থাকে এবং ইমাম মাহদী ( আ .)- এর অন্তর্ধান তাতে কোন বাধার সৃষ্টি করে না। শাবিস্তান