IQNA

যখন আসমানের রহমতের দরজা খোলা থাকে!

14:17 - August 24, 2017
সংবাদ: 2603689
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন, চারটি সময়ে আসমানের রহমতের দারসমূহ খূলে যায়, ১-যখন বৃষ্টি হয়, ২- যখন সন্তান পিতা-মাতার চেহারার দিকে তাকায়, ৩-যখন কাবাঘর খোলা হয় এবং ৪- যখন বিবাহ হয়।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ১লা জিলহজ আমিরুল মু’মিমনি হযরত আলী(আ.) এবং মা ফাতিমার বিবাহ বার্ষিকী। মহানবী বলেছেন: যখন কেউ বিবহা করে তখন তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ হয়ে যায়।

মানবতার ধর্ম ইসলাম নারী পুরুষদের মধ্যে সুন্দর ও পুতঃপবিত্র জীবন-যাপনের জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বল্গাহীন, স্বেচ্ছাচারী জীবনের উচ্ছৃঙ্খলতা ও নোংরামির অভিশাপ থেকে সুরক্ষা করতেই ইসলাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জোর তাগিদ প্রদান করেছে। কেননা নারী পুরুষের পবিত্রতা ও সতিত্ব রক্ষার মোক্ষম ও বাস্তব সম্মত হাতিয়ার হল এ বিবাহ ব্যবস্থা।

পবিত্র কোরআন পাকে বিয়ে এবং স্ত্রী গ্রহণের ব্যবস্থাকে নবী রাসূলের প্রতি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ দান বলে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সূরা রায়াদ এ উল্লেখ করেন "হে নবী তোমার পূর্বেও আমি অনেক নবী রাসূল পাঠিয়েছি এবং তাদের জন্য স্ত্রী ও সন্তানের ব্যবস্থা করেছি”। আয়াতের মর্মবাণী থেকে বুঝা যায় বিবাহ আল্লাহপাক প্রদত্ত একটি ঐশী বিধান।

একই প্রসঙ্গে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের সুরা নূরে এরশাদ করেন "এবং বিয়ে দাও তোমাদের এমন সব ছেলে-মেয়েদের স্বামী-স্ত্রী বা স্ত্রী নেই; বিয়ে দাও তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা বিয়ের যোগ্য হয়েছে”। বিয়ের মাধমে স্বামী-স্ত্রীর উপর গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়। দায়িত্ব কর্তব্য এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পরস্পরকে সুবিবেচনার অধিকারী হয়ে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর, সুখকর ও পবিত্র করে রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৭নং আয়াতে এরশাদ করেন:  স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ। অর্থাৎ পোশাক যেমন করে মানব দেহকে সকল প্রকার নগ্নতা, অশ্লীলতা, কুশ্রীতা ইত্যাদি থেকে বাঁচিয়ে রাখে ঠিক তেমনি বিবাহর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে সেভাবে বাঁচিয়ে রাখে।

একই প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: যে ব্যক্তি বিয়ে করল তার অর্ধেক দিন-ঈমান পূর্ণ হয়ে গেল, সে যেন বাকি অর্ধেকের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে।

হাদিসে আরও উল্লেখ আছে:  স্বামী-স্ত্রী যখন একান্তে বসে আলাপ করে, হাসি-খুশী করে তার সওয়াব নফল এবাদতের মতো। তাছাড়া স্ত্রীরা জগতের অস্থায়ী সম্পদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে হাদিসে এরশাদ রয়েছে। বিয়ের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা প্রত্যেক নর-নারীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ২৫নং আয়াতে এরশাদ করেন: তোমরা তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে তাদের বিয়ে কর; যথাযথভাবে তাদের মোহর প্রদান কর; যেন তারা বিয়ের দূর্গে সুরক্ষিত হয়ে থাকতে পারে এবং অবাধে যৌনচর্চা ও গোপন বন্ধুত্বে লিপ্ত না হয়ে পড়ে। আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহপাক বিয়ে করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং বিয়ে না করে অবাধ যৌনসম্পর্ক স্থাপন করার প্রতি নিরুৎসাহিত করেছেন।

বিয়ের করার যোগ্যতা (শারীরিক এবং অর্থনেতিক) ভাবে অর্জন করার পর অবিবাহিত এবং অকৃতদার হয়ে জীবনযাপন করা ইসলামে কখনই কাম্য নহে বরং তার থেকে পরিত্রাণ প্রদান করাই ইসলামের লক্ষ্য। কেননা অকৃতদার জীবন কখনই পবিত্র এবং পরিতৃপ্ত জীবন হতে পারে না। শাবিস্তান
ট্যাগ্সসমূহ: মাতা ، পিতা ، বিবাহ ، কুরআন ، নারী ، বিয়
captcha