বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আল্লামা মজলিসী এবং সাইয়্যেদ মোর্ত্তাজা বর্ণনা করেছেন যে, শেষ জামানায় এবং ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভারেব পর মহান আল্লাহ একদল খালেস মু’মিন বান্দাকে এবং কিছু কাফের ও মুনাফিককে পুনরায় দুনিয়াতে পাঠাবেন। আর এর নামই হচ্ছে রাজয়াত। ঐ সময় মুমিনরা পুরস্কৃত হবে এবং ইমাম মাহদীর(আ.) সাথে তাকতে পারবেন। আর কাফের ও মুনাফিকদেরকে শাস্তি দেবেন।
বহু আদিস রয়েছে যাতে বর্ণিত হয়েছে যে, সকল প্রকৃত এবং খালেস বান্দাদের রাজয়াত হবে। আর প্রকৃত কাফের ও মুশরিকদেরও রাজয়াত হবে। যেহেতু সকল নবী এবং ইমামগণ আল্লাহর খালেস বান্দা এবং প্রকৃত ঈমানদার ছিলেন সুতরাং তাদের সবার রাজয়াত হবে।
সূরা গাফেরের ৫১ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে: আল্লাহ সকল নবীদের দুনিয়াতে সাহায্য করবেন। কিন্তু নবীরা দুনিয়াতে সাহায্য পান নি। ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: এই আয়াতে রাজয়াতের সময়কে বলা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনের আয়াত এবং অসংখ্য হাদিসের ভিত্তিতে রাজয়াতের বিষয়টি নিশ্চিত।
পবিত্র কুরআনে রাজয়াতকে ایّام الله» আইয়্যামুল্লাহ বলা হয়েছে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: «ایّام الله»আইয়্যামুল্লাহ তথা আল্লাহর দিন হচ্ছে তিনটি যথা: ১- ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের দিন, ২- রাজয়াতের দিন এবং ৩- কিয়ামতের দিন।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) আরও বলেছেন: যারা রাজয়াতে বিশ্বাস করে না তারা আমাদের শিয়া তথা অনুসারী নয়।
হযরত ঈসার(আ.) আবির্ভাব হবে, রাজয়াত হবে না। কেননা তাদেরই কেবল রাজয়াত হবে যারা পূর্বে মারা গিয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আবার তাদেরকে জীবিত করে দুনিয়াতে পাঠানো হবে। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা অনুসারে প্রতিটি মুসলমানই বিশ্বাস করে যে হযরত ঈসাকে(আ.) হত্যা করা হয় নি বরং মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।
ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পর হযরত ঈসার(আ.) আগমন ঘটবে এবং তিনি ইমাম মাহদীর পিছনে নামাজয় আদায় করবেন। শাবিস্তান