
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ৬৭ বছর বয়সী লুইস ব্রাজিলেল অধিবাসী, তিনি ১৫ বছর পূর্বেও তিনি খ্রিস্টান ছিলেন।, তিনি বহু ইসলামী দেশ ঘুরে এবং ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা করেই তবে শিয়া মাজহাবকে গ্রহণ করেছেন।
খুজে লুইস মুসলমান হওয়ার পর নিজের নাম পরিবর্তন করে হুসাইনি লুইস রাখেন এবং বর্তমানে ৩ সপ্তাহ ধরে তিনি ইরানে আছেন এবং ইসলাম সম্পর্কে জানতে আরও বেশী গবেষণা করছেন।
হুসাইনি লুইস ইরানে এসে প্রথমে ইমাম রেজার(আ.) মাজার যিয়রাত করে অভিভূত হয়ে বলেন, এত সুন্দর ও আধ্যাত্মিক জায়গা আমি আর দেখি নি। তিনি বলেন: আমার বার বার ইমাম রেজার(আ.) মাজার যিয়ারত করতে মন চাচ্ছে।
তিনি বলেন: মহানবীর পর ইমাম আলীরমত বড় ও মহান ব্যক্তি আর দুনিয়াতে আসে নি। মাওলা আলী যেমন ছিলেন জ্ঞানী, তেমন ছিলেন ধার্মিক ও বীর যোদ্ধা। তিনি বলেন: মহানবীর পর পবিত্র কুরআনের সব থেকে বেশী জ্ঞান রাখতেন হযরত আলী(আ.)।
লুইস ২০ বছর বয়সে বিবাহ করেন এবং ৫০ বছর বয়সে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তার ৪৬ বছর বয়সী এক কন্যা আর ৪৪ বছর বয়সী এক পুত্র আছে। তারা কোন ধর্মের অনুসরণ করে না। কিন্তু আমি তাদেরকে সর্বদা ইসলামধর্ম গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দিয়ে থাকি।
ইমাম হুসাইনের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসলামকে বাচাতে ইমাম হুসাইনের যে অবদান তা মানুষকে হতবাক করে দেয়। তিনি বলেন, ইমাম হুসাইন(আ.) যেহেতু নবীর সন্তান, আলীর সন্তান এবং মা ফাতিমার সন্তান তাই তার কোন তুলনা খুজে পাওয়া সম্ভব নয়, তার তুলনা শুধু সে নিজেই।
তিনি বলেন: ইমাম হুসাইনের আন্দোলনের সব থেকে বড় শিক্ষা হচ্ছে আত্মত্যাগ এবং সব কিছুকে আল্লাহর রাস্তায় উজাড় করে দেয়া। শাবিস্তান