বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি বলেন, আমেরিকা দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি করলেও বুকামাল শহরে এই গোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখতে এমন চেষ্টা নেই যা তারা না করেছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে হাসান নাসরুল্লাহ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বুকামাল শহর পুনরুদ্ধার করা ছিল বড় বিজয় কারণ এটা ছিল সিরিয়ায় দায়েশের দখলে থাকা সর্বশেষ শহর। এ শহরে দায়েশকে সাহায্যের জন্য শুধুমাত্র মার্কিন সেনারা সরাসরি যুদ্ধ করে নি; বাকি সবকিছু করেছে।
হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, দায়েশকে ড্রোনের সাহায্যে আমেরিকা বুকামাল শহরের প্রকৃত তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে এবং সেখানে কী হচ্ছে তার সবই সন্ত্রাসীদেরকে জানিয়েছে। এছাড়া, যেসব সেনা ও স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা বুকামাল শহরে যুদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনারা ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এছাড়া, দায়েশ কমান্ডারদেরকে বুকামাল শহর ছেড়ে চলে যেতে বিমান সহায়তা দিয়েছে আমেরিকা। তিনি জানান, এই পরিপ্রেক্ষিতে- এমনকি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানও আমেরিকার ভূমিকার নিন্দা করেছেন।
হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, বুকামাল শহর পুনরুদ্ধারের ফলে সিরিয়ায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে এবং দায়েশের স্বঘোষিত খেলাফতের অবসান হয়েছে। তিনি জানান, ইরাক ও সিরিয়ায় সাম্প্রতিক বিজয়ের ফলে দায়েশের সামরিক কাঠামো ভেঙে গেছে এবং ইরাকের সেনারা সিরিয়া সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। দায়েশের বিরুদ্ধে বিজয়ের অর্থ হচ্ছে সন্ত্রাসীদের বর্বরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে ইসলামি মূল্যবোধের বিজয়।
হাসান নাসরুল্লাহ তার ভাষণে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আল-কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানির ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে ভূমিকা পালনের কথা তুলে ধরেন। হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, জেনারেল সোলায়মানি এ দুটি দেশে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে থেকে কমান্ড দিয়েছেন, তিনি কখনো পেছন থেকে নির্দেশ জারি করেন নি।
বুকামাল শহরটি রোববার মুক্ত করেছে সিরিয় সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাসহ জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী।