IQNA

হযরত ঈসার (আ.) মুখে হযরত মুহাম্মদের (সা.) আগমনের সুসংবাদ

15:27 - December 27, 2017
সংবাদ: 2604654
পৃথিবীর সকল নবী রাসূলই মহান আল্লাহর বান্দা। তবে তাদেরকে সম্মানিত করেছেন বিশেষভাবে। ব্যত্যয় ঘটেনি হজরত ঈসা (আ.)-এর ক্ষেত্রেও। তিনিও ছিলেন মহান আল্লাহর একজন বান্দা ও নবী।



বার্তা সংস্থা ইকনা: হজরত ঈসা (আ.) আগের সব নবী এবং আসমানি কিতাবের সত্যায়নকারী এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের সুসংবাদদাতা। আল্লাহর কুদরতে পৈতৃক সম্পর্ক ছাড়াই কুমারী মায়ের গর্ভে তার জন্ম হয়। হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হয় আসমানি কিতাব ইঞ্জিল শরিফ।

পবিত্র কুরআনের সুরা আস-সফেরের ৬ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে : ‘হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম হবে আহমাদ।’

পবিত্র কুরআনে সূরা মারইয়ামে হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আল্লাহ মরিয়মের কাছে জিবরাইল ফেরেশতাকে পাঠান। মানুষের রূপ ধারণ করে তিনি তার সামনে আত্মপ্রকাশ করেন। জিবরাইল মরিয়মকে বলেন, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। মরিয়ম ফেরেশতাকে বলেন, কেমন করে আমার পুত্র হবে আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি। আমি ব্যভিচারিণীও নই। জিবরাইল ফেরেশতা বলেন, আল্লাহর কাছে সব কিছুই সহজসাধ্য। কুমারী নারীর গর্ভে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই সন্তান জন্মদান মানুষের জন্য এক নিদর্শন। এটি আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ এবং স্থিরীকৃত বিষয়। হজরত ঈসা (আ.) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মরিয়ম তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন।

captcha