বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবে তখন ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে, জুলুম বিতাড়িত হবে, রাস্তাঘাট নিরাপদ থাকবে এবং আসমান ও জমিন থেকে বরকত আসতে থাকবে আর সবাই তাদের অধিকার ঠিকমত বুঝে পাবে।
ইমাম হুসাইন(আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদীর রাষ্ট্রে হিংস্র পশুরাও স্বাধীন থাকবে এবং তারা কারও ক্ষতি করবে না। জমিন থেকে হরেক রকমের ফসল উৎপাদন হবে এবং আসমান থেকে বরকত নাজিল হবে। আর সকল খনিজ সম্পদ মাটি থেকে বের হয়ে আসবে।
সূরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آَمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
যদি জনপদ বা শহরগুলোর অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং আল্লাহ্কে ভয় করতো, আমি অবশ্যই তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর [সকল] কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা [ আমার নিদর্শন বা সত্যকে] প্রত্যাখ্যান করেছিলো। সুতরাং তাদের কু-কর্মের জন্য আমি তাদের [শাস্তির] অন্তর্ভুক্ত করেছি।
উপভোগের সব কিছুই সমান নয়। মুমিনদের যেসব নিয়ামত দেয়া হয় সেগুলো স্থায়ী ও বরকতে পরিপূর্ণ এবং অশেষ বরকতের আধার। এইসব নিয়ামত আল্লাহর দয়ার নিদর্শন। অন্যদিকে কাফিরদের যেসব ভোগের সামগ্রী দেয়া হয় সেগুলো ক্ষণস্থায়ী, অশুভ ও খোদায়ী ক্রোধের নিদর্শন।
সমাজে বরকত নাজিল হওয়ার জন্য কেবল ব্যক্তিগত ঈমান ও খোদাভীরুতাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য সমাজের বেশিরভাগ মানুষকেই খোদাভীরু হতে হবে।