বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক ও চিন্তাবিদ হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাবিবুল্লাহ ফারাহজাদ গতকাল ইমাম হুসাইনের (আ.) মহিমান্বিত জন্ম দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: পবিত্র শাবান মাসটি হল বছরের মধ্যে ফজিলতপূর্ণ মাসের মধ্যে অন্যতম। আর এ মাসের তৃতীয় তারিখে রাসূলের (সা.) প্রাণপ্রিয় নাতি সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্ম হয়েছে। যাকে উদ্দেশ্য করে রাসূল (সা.) অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন। যিনি বেহেশবাসীদের নেতা। মানব জাতির মধ্যে যারাই বেহেশতে প্রবেশ করার তৌফিক অর্জন করবে, তারাই চিরদিনের জন্য ইমাম হুসাইনের মেহমান হিসেবে সেখানে অবস্থান করবেন। আর এ সৌভাগ্য ও মেজবানির দায়িত্ব ইমাম হুসাইনকে স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন।
তিনি দরুদ শরীফ পাঠকে পবিত্র শাবান মাসের অন্যতম ফজিলত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন: দরুদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত রাসূলের (সা.) একটি হাদীসের মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। এ হাদীসে তিনি বর্ণনা করেছেন- যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে, আমার উপর ফরজ হয়ে যায় তার জন্য আল্লাহর দরবারে শাফায়াত করা।
তিনি বলেন: দরুদ শরীফ সালামের চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ। সালামের জবাব দেয়া ফরজ। তেমনিভাবে যদি কেউ রাসূলের (সা.) দরুদ শরীফ পাঠ করে, তবে স্বাভাবিকভাবেই রাসূলের উপরও উক্ত দরুদের জবাব দান জরুরী হয়ে পড়ে। এ কারণে দরুদ শরীফ হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম ও কার্যকর জিকির।