IQNA

ইসলামের দৃষ্টিতে রাজআতের গুরুত্ব

15:53 - August 02, 2018
সংবাদ: 2606352
রাজআতের অর্থ হচ্ছে ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের পর কিছু খালেস ও মুমিন বান্দাকে আল্লাহ পুনরায় দুনিয়াতে পাঠাবেন এবং তারা ইমাম মাহদীর (আ.) সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পাবেন।



বার্তা সংস্থা ইকনা: শেষ জামানায় এবং ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভারেব পর মহান আল্লাহ একদল খালেস মু’মিন বান্দাকে এবং কিছূ কাফের ও মুনাফিককে পুণরায় দুনিয়াতে পাঠাবেন। আর এর নামই হচ্ছে রাজয়াত। ঐ সময় মুমিনরা পুরস্কৃত হবে এবং ইমাম মাহদীর(আ.) সাথে তাকতে পারবেন। আর কাফের ও মুনাফিকদেরকে শাস্তি দিবেন।

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: «ایّام الله» আইয়্যামুল্লাহ তথা আল্লাহর দিন হচ্ছে তিনটি যথা:

১- ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের দিন,

২- রাজয়াতের দিন এবং

৩- কিয়ামতের দিন।

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) আরও বলেছেন: যারা রাজয়াতে বিশ্বাস করে না তারা আমাদের শিয়া তথা অনুসারী নয়।

হযরত ঈসার(আ.) আবির্ভাব হবে, রাজয়াত হবে না। কেননা তাদেরই কেবল রাজয়াত হবে যারা পূর্বে মারা গিয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আবার তাদেরকে জীবিত করে দুনিয়াতে পাঠানো হবে। পবিত্র কুরআনের শিক্ষা অনুসারে প্রতিটি মুসলামনই বিশ্বাস করে যে হযরত ঈসাকে(আ.) হত্যা করা হয় নি বরং মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

ইমাম রেজা (আ.) বলেছেন: রাজয়াত একটি সত্য বিষয়। প্রতিটি নবীর উম্মতের মধ্যেও রাজয়াত ছিল। পবিত্র কুরআনেরও এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হেয়ছে। আর রাসূল(সা.) বলেছেন; অন্য উম্মতের মধ্যে যা ছিল আমার উম্মতে তা ঘটবে। সুতরাং রাজয়াত তথা প্রত্যাবর্তন একটি সত্য ও অবধারিত বিষয়।

শিয়া মাজহাবের প্রখ্যাত সকল মনীষী যেমন হাসান বিন সুলাইমান কুমি(রহ.), আল্লামা হিল্লি, শেখ মুফিদ, আলামুল হুদা, সাইয়্যেদ মুর্তাজা এবং আল্লামা বাকের মাজলিসী বলেছেন: রাজয়াত একটি অবধারিত বিষয় এবং এই বিষয়ে সকল শিয়া আলেমদের ইজমা রয়েছে।

হাসান বিন সুলাইমান কুমি (রহ.) তার বাসায়েরুদ দারাজাত গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন: মহান আল্লাহ রাসূলকে(সা.) মিরাজে নিয়ে তাকে সকল গোপন বিষয় সম্পর্কে অবগত করেন এবং বলেন, হে মুহাম্মাদ! সর্ব প্রথম ইমাম হচ্ছে আলী এবং আমি সবার কাছ থেকে তার জন্য বায়াত নিয়েছি। এবং সর্বশেষ যার রুহ কবজ করা হবে সে হচ্ছে আলী। এই হাদিস থেকে রাজয়াত তথা প্রত্যাবর্তনকে বোঝা যায়।

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: মহান আল্লাহ সকল নবীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত নিয়েছেন। আর তা হল ইমাম মাহদীকে সাহায্য করার প্রতিশ্রিুতি।

আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী পূনরায় দুনিয়াতে ফিরে আসবেন। আর শুধুমাত্র ইমাম হুসাইনের সাথে ফিরে আসবেন ৭০ জন নবী। আর ইমাম মাহদীর(আ.) সাথে ফিরবেন হযরত ঈসা, খিজিরসহ আরও অনেক নবী।

captcha