পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার সব সরকারই ইরানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছে। এটা তাদের জন্য প্রয়োজন। আমেরিকা সবাইকে এটা দেখাতে ও বলতে চায় যে, তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকেও আলোচনায় বসাতে সক্ষম হয়েছে। এর আগেও যেমনটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের আলোচনা করা হবে না।
প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীদের তিনি বলেন, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ও আলোচনায় কোনো সমস্যা নেই। অবশ্যই তাদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে পরমাণু সমঝোতা ও অর্থনীতির মতো ইস্যুতে তাদের কাছ থেকে কোনো কিছুই আশা করা যায় না। তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।
পরমাণু সমঝোতা ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইউরোপের অবস্থান ও আচরণের সমালোচনা করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে এবং খুবই সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা আমাদের মূল টার্গেট নয়, এটি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার একটি মাধ্যম। স্বাভাবিকভাবেই পরমাণু সমঝোতা থেকে কোনো ফলাফল পাওয়া না গেলে এবং জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত না হলে আমরা আর সমঝোতা মানব না।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইউরোপীয়দের উচিৎ ইরানি কর্মকর্তাদের কথা ও কাজকে ভালোভাবে উপলব্ধি করা। কারণ ইউরোপীয়দের পদক্ষেপের ভিত্তিতে ইসলামি ইরানও প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি এ সময় ইরানের অফুরন্ত অর্থনৈতিক সক্ষমতা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের যেসব দেশ এখনও তাদের সুযোগ ও সক্ষমতা ভালোভাবে কাজে লাগায় নি সেসব দেশের শীর্ষে রয়েছে ইরান।