বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় ইউরোপ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেসবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) তেহরানে ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে আরও বলেন, ইউরোপ ইরানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিপরীতে কার্যত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে, তারা কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। ভবিষ্যতেও তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জন্য কিছু করবে বলে মনে হয় না। এ কারণে ইউরোপের কাছ থেকে আর কোনো আশা নেই।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইউরোপীয়রা বাহ্যিকভাবে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ঢোকে এবং দীর্ঘ কথাও বলে, কিন্তু এর সবই ফাঁকা।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও আলোচনায় বাধা নেই। তবে যেসব দেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতার ঝাণ্ডা উড়াচ্ছে তাদেরকে কোনো ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করা যাবে না, কারণ এসব দেশ সুস্পষ্টভাবে ইরানি জাতির সঙ্গে শত্রুতা করছে।
তিনি বলেন, সব ধরণের শত্রুতা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতি ইসলামী ইরানের অনুকূলে। ইরানের ইসলামী ব্যবস্থা শুধু ৪০ বছর আগের চেয়ে শক্তিশালী তা নয় বরং ১০ বছর আগের চেয়েও শক্তিশালী। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিপ্লবী ও রাজনৈতিক শক্তি জোরদার হয়েছে এবং বিপ্লবের শেকড় আরও বেশি গভীরে পৌঁছে গেছে। iqna