
ইরাকের জ্যেষ্ঠ এক ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে সাক্ষাতকারে এই তথ্য জানান। আগামী মার্চে নির্ধারিত এই সফরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো পোপ ইরাকে যাবেন।
ইরাকের ক্যালেডিয়ান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান লুইস সাইক জানান, কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দুই ধর্মীয় নেতা ব্যক্তিগত সাক্ষাতকারে মিলিত হবেন।
সাকো বলেন, তিনি আশা করেন দুই নেতার মধ্যে বিশ্ব শান্তির জন্য মানব ভ্রাতৃত্বের দলিল স্বাক্ষর করবেন।
একই রকম একটি দলিল ২০১৯ সালে আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমদ আল-তাইয়েবের সাথে পোপ ফ্রান্সিস স্বাক্ষর করেন। এই দলিলে উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সর্বধর্মীয় নিন্দা জানানো হয়।
পোপ ফ্রান্সিস আগামী ৫ মার্চ থেকে ৮ মার্চ ইরাক সফর করবেন। সফরে রাজধানী বাগদাদ ও মসুলের সাথে সাথে উর শহর ভ্রমণ করবেন। উর শহরে তিন ধর্মের পবিত্র পুরুষ হিসেবে বিবেচিত ইবরাহীম আ. জন্মগ্রহণ করেন বলে কথিত আছে।
ইরাকে এক সময় ১৫ লাখ খ্রিস্টানের জনবসতি ছিল। কিন্তু দেশটিতে ধারাবাহিক সংঘাতের কারণে এই জনবসতি ক্রমেই কমে আসছে।
ইরাকে ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর গোত্রগত সংঘাতে দেশটির খ্রিস্টান সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করে। ২০১৪ সালে আইএসের উত্থানের পর এই হার আরো বাড়ে। বর্তমানে ইরাকে চার লাখ খ্রিস্টান অধিবাসী বাস করছেন।
অনেকেই প্রত্যাশা করছেন, পোপের এই সফরের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতি ও সরকারে প্রতিনিধিত্বহীনতাসহ দেশটির খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিকূলতার বিষয় উঠে আসবে।
iqna